শিরোনাম
ঢাকা, ১৫ মে, ২০২৫ (বাসস): বাণিজ্য আলোচনায় নতুন অগ্রগতির প্রত্যাশায় বিনিয়োগকারীদের অপেক্ষায় বৃহস্পতিবার বিশ্বব্যাপী শেয়ারবাজার কিছুটা স্তিমিত হয়ে পড়েছে। মার্কিন অংশীদাররা ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক বৃদ্ধি এড়াতে চুক্তিতে পৌঁছানোর চেষ্টা করছে। অন্যদিকে ইরানের সঙ্গে পারমাণবিক চুক্তির আশায় অপরিশোধিত তেলের দাম কমে গেছে। হংকং থেকে এএফপি এ সংবাদ জানিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে সাম্প্রতিক সমঝোতায় বাজারে যে চাঙ্গাভাব দেখা গিয়েছিল, তা এখন স্তিমিত হয়ে এসেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ২ এপ্রিল লিবারেশন ডে’র শুল্ক বোমা বিষ্ফরণের আগের স্তরে বাজারকে ফিরিয়ে আনার জন্য
বিনিয়োগকারীরা নতুন কোনো ইতিবাচক ইঙ্গিতের অপেক্ষায় রয়েছেন।
বেইজিং ৯০ দিনের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের কিছু প্রতিষ্ঠানের ওপর আরোপিত অ-শুল্ক পাল্টা ব্যবস্থা স্থগিত করেছে—এই খবরে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে খুব বেশি উৎসাহ দেখা যায়নি। তবে বর্তমানে শুল্ক সংকট আপাতত কিছুটা প্রশমিত হওয়ায় ডিলাররা এখন ওয়াশিংটনের বাণিজ্য নীতির প্রাথমিক প্রভাব সম্পর্কে ধারণা পেতে অর্থনৈতিক মৌলিক তথ্যের দিকে নজর দিচ্ছেন।
মঙ্গলবার প্রকাশিত তথ্যে দেখা গেছে যে, পূর্বাভাসের চেয়ে এপ্রিলে মার্কিন মুদ্রাস্ফীতি কিছুটা কম। বৃহস্পতিবারের প্রকাশিতব্য তথ্যে দেথা গেছে, বর্তমানে বিনিয়োগকারিদের চোখ পড়েছে পাইকারি মূল্য এবং খুচরা বিক্রয়ের পাশাপাশি খুচরা জায়ান্ট ওয়ালমার্টের আয়ের ওপড় ।
তবে, বিশ্লেষকরা উল্লেখ করেছেন যে মে মাসের পরিসংখ্যান প্রকাশ না হওয়া পর্যন্ত আসল প্রভাব দেখা যাবে না এবং সতর্ক করে দিয়েছেন যে সামনের পথে এখনও প্রচুর বাধা রয়েছে।
সাক্সো ব্যাংকের প্রধান বিনিয়োগ কৌশলবিদ চারু চানানা বলেন, ‘বাণিজ্যিক বিরতি আপাতত কার্যকর থাকলেও, যেসব শুল্ক আরোপ করা হয়েছে—যার অনেকগুলো এখনও ৩০ শতাংশের কাছাকাছি—সেগুলো সহজে উঠে যাবে না। এই নীতিগুলো দীর্ঘমেয়াদে সরবরাহ চেইন, কর্পোরেট মুনাফা ও মুদ্রাস্ফীতিকে পুনর্গঠন করতে পারে।
ওয়াল স্ট্রিটে বুধবার মিশ্র প্রবণতা লক্ষ্য করা গেছে—এসঅ্যান্ডপি ও ন্যাসদাক বেড়েছে, তবে দাও কমেছে। এশিয়ার বাজারগুলোতে বেশিরভাগ সূচকের সংশোধন হয়েছে। টোকিও, হংকং, সাংহাই, সিডনি, সিওল, ওয়েলিংটন, তাইপেই এবং ম্যানিলা বাজারে পতন দেখা গেছে।
অন্যদিকে, ইরান পারমাণবিক চুক্তিতে মার্কিন দাবি মেনে নিতে পারে—এমন ইঙ্গিতে অপরিশোধিত তেলের দাম প্রায় ২ শতাংশ কমে গেছে।
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনির একজন উপদেষ্টা আলি শামখানি এনবিসি নিউজকে জানিয়েছেন, তেহরান যদি অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের নিশ্চয়তা পায়, তাহলে তারা পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি না করার নিশ্চয়তা, ইউরেনিয়াম মজুদের পরিত্যাগ ও পরিদর্শকদের প্রবেশাধিকার দেওয়ার মতো গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিতে পারে।
চীন-যুক্তরাষ্ট্রের উত্তেজনা কমে আসায় এবং শুল্ক প্রত্যাহারের সম্ভাবনায় আগের দিন থেকেই তেলের দামে পতন শুরু হয়। বুধবার পণ্যটির দাম ইতোমধ্যেই কমে গেছে, কারণ ধারণা করা হচ্ছিল চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে উত্তেজনা কমে গেলে এবং শুল্ক কমলে চাহিদা বাড়বে।