শিরোনাম
ঢাকা, ১২ মে, ২০২৫ (বাসস): এলডিসি থেকে উত্তরণ পরবর্তী চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলায় আজ দেশের এসএমই খাতকে শক্তিশালী করার ওপর গুরুত্বারোপ করেছে আন্তর্জাতিক চেম্বার অব কমার্স বাংলাদেশ (আইসিসিবি) ।
আইসিসিবি’র ভাইস প্রেসিডেন্ট এ কে আজাদ বলেন, ‘এসএমই খাত যে কোনো অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি, উন্নয়ন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির মূল ভিত্তি। ২০২৬ সালে বাংলাদেশ যখন মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হবে তখন প্রতিযোগিতামূলক বাজারে টিকে থাকতে এসএমই খাতকে শক্তিশালী করাই হবে অন্যতম করণীয়। এটি পুরো সাপ্লাই চেইন প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।’
এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) ট্রেড অ্যান্ড সাপ্লাই চেইন ফাইন্যান্স প্রোগ্রাম (টিএসসিএফপি) এবং ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড সেন্টার (আইটিসি) এর সহযোগিতায় আয়োজিত এক কর্মশালার উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
আইসিসিবি’র মহাসচিব আতাউর রহমান কর্মশালার সঞ্চালনা করেন। এ সময় আইটিসি-এর সহযোগী প্রোগ্রাম অফিসার ড্যাং টুয়ান ডুকান্ড ও সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার নিকলাস আন্দ্রেস এন্ডারসন বিভিন্ন বিষয়ের তাদের প্রেজেন্টশন উপস্থাপন প্রদান করেন।
এ কে আজাদ বলেন, রপ্তানি প্রবৃদ্ধি বজায় রাখতে হলে বাংলাদেশকে যথাযথ কমপ্লায়েন্স নিশ্চিত করতে হবে এবং স্থায়িত্ব বজায় রাখতে হবে। এ কারণে আজকের কর্মশালার উদ্দেশ্য ছিল টেক্সটাইল, পোশাক এবং পাদুকা প্রস্তুতকারকদের আইটিসি বা এডিবির ‘সাসটেইনেবিলিটি স্ট্যান্ডার্ডস নেভিগেশন টুলকিট’ এর পাইলট টেস্টিংয়ে সম্পৃক্ত করা।
তিনি বলেন, এই টুলকিট এসএমইদের টেকসই মানদণ্ড সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে, সনদপ্রাপ্তির উপযোগিতা মূল্যায়নে এবং টেকসই চর্চা ও কমপ্লায়েন্সের জন্য বাস্তব ভিত্তিক সুপারিশ পেতে সহায়তা করবে।
কর্মশালায় গার্মেন্টস, টেক্সটাইল, লেদারসহ বিভিন্ন এসএমই ও কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৪০ জন অংশগ্রহণ করেন।