বাসস
  ০৬ মে ২০২৫, ১২:৫৭

ট্রাম্পের শুল্ক আরোপে কানাডা-যুক্তরাষ্ট্রের চলচ্চিত্র খাতে সংকটের শঙ্কা

ঢাকা, ৬ মে, ২০২৫ (বাসস):  বিদেশে নির্মিত চলচ্চিত্রগুলোর ওপর ট্রাম্পের শতভাগ শুল্ক আরোপ যুক্তরাষ্ট্রের পাশপাশি কানাডার চলচ্চিত্র শিল্পেও “অর্থনৈতিক সংকট” সৃষ্টি করবে। এমন শঙ্কা প্রকাশ করেছে কানাডার একটি শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়িক সংগঠন। বার্তাসংস্থা এএফপি এ খবর জানায়।

কানাডিয়ান মিডিয়া প্রডিউসার্স অ্যাসোসিয়েশন জানায়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন শুল্কারোপ কানাডা-যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যম খাতে ব্যাপক অস্থিরতা ও অর্থনৈতিক সংকট তৈরি করবে। কারণ, হলিউডের বহু চলচ্চিত্র ও যুক্তরাষ্ট্রের বড় বড় টিভি প্রজেক্ট নিয়মিতভাবে কানাডাতে ক্যামেরায় ধারণ করা হয়।

এক জরিপে দেখা যায়, ২০২৫ ও ২০২৬ সালে শুটিংয়ের জন্য স্টুডিও নির্বাহীদের পছন্দের প্রথম পাঁচটি লোকেশনই যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে। তালিকায় কানাডার বৃহত্তম শহর টরন্টো শীর্ষে। আর পশ্চিম উপকূলের শহর ভ্যাঙ্কুভার তৃতীয় স্থানে।

ওন্টারিওর প্রশাসন এএফপিকে জানায়, রাজধানী টরন্টোসহ পুরো প্রদেশের চলচ্চিত্র খাতের কর্মসংস্থান রক্ষায় তারা সবকিছুই করবে। স্থানীয় পর্যটন ও সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র স্কট ক্লার্ক বলেন, “ ট্রাম্প আরোপিত অযৌক্তিক শুল্কে চলচ্চিত্র শিল্পে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি।”

কুইবেক প্রদেশের ফিল্ম টেকনিশিয়ানদের ইউনিয়ন প্রধান বার্নার্ড লারিভিয়েরে জানান, আমাদের এক-তৃতীয়াংশ সদস্য যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রজেক্টে কাজ করে। 

মোশন পিকচার অ্যাসোসিয়েশনের সর্বশেষ তথ্য অনুসারে, ২০২২ সালে যুক্তরাষ্ট্রে ২.৩ মিলিয়নেরও বেশি চাকরি এবং ২৭৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বাণিজ্য সৃষ্টিতে অবদান রেখেছে হলিউড।

তবে হলিউডে সাম্প্রতিক ধর্মঘট এবং কোভিড পরবর্তী প্রভাবের ধারাবাহিকতায় দর্শকরা এখনো পুরোপুরি প্রেক্ষাগৃহমুখি হননি। তাই আগের গতি ফেরেনি মার্কিন চলচ্চিত্র শিল্পে।

যদিও  ট্রাম্পের দাবি, হলিউডের আর্থিক ক্ষতির প্রধান কারণ মার্কিন নির্মাতা ও স্টুডিওগুলো বিদেশে কাজ করা।”