বাসস
  ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ১৭:১৯
আপডেট : ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ১৮:৪০

ব্যবসাবান্ধব বাজেট প্রণয়নের আশ্বাস অর্থ উপদেষ্টার

আজ রাজধানীর একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত ২০২৫-২৬ অর্থবছরের পরবর্তী জাতীয় বাজেটের জন্য ৪৫তম এনবিআর-এফবিসিসিআই পরামর্শক কমিটির সভায় অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বক্তব্য রাখেন। ছবি: এফবিসিসিআই

ঢাকা, ৩০ এপ্রিল, ২০২৫ (বাসস): ২০২৫-২০২৬ অর্থবছরের জাতীয় বাজেট বাস্তবসম্মত এবং ব্যবসাবান্ধব হবে বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।

বুধবার সকালে রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে এনবিআর এবং এফবিসিসিআই’র যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) পরামর্শক কমিটির ৪৫তম সভায় তিনি এ কথা বলেন।

সভায় সভাপতিত্ব করেন অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সচিব এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান। 

আজ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘এবারের বাজেট হবে বাস্তবসস্মত ও বাস্তবায়নযোগ্য। বাজেটে চেষ্টা করবো ব্যবসা-বাণিজ্যের পরিবেশ আরো সহজ করার।’

অর্থ উপদেষ্টা বলেন, দেশে সরাসরি বিদেশী বিনিয়োগ (এফডিআই) বৃদ্ধির লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্রের বেশকিছু বিনিয়োগকারীর সঙ্গে আলোচনা চলছে। পাশাপাশি আইএমএফ এবং বিশ্বব্যাংকের সঙ্গেও আলোচনা হচ্ছে। শুধু সরকারি খাত নয় বেসরকারি খাতের টেকসই উন্নয়নে সরকার কাজ করছে। ‘আমাদের ভুল-ত্রুটি হতে পারে, তবে আমরা আপনাদের জন্যই কাজ করছি’ বলে উল্লেখ করেন অর্থ উপদেষ্টা।

সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় এবং বেসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, বর্তমান সরকারের লক্ষ্য হলো ব্যয় নির্ধারণের ক্ষেত্রে ন্যায্যতাভিত্তিক এবং লক্ষ্যভিত্তিক বাজেট প্রণয়ন করা।

ব্যবসা, বাণিজ্যের পরিবেশ উন্নয়নে সরকার বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে বলে জানান বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) এবং বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) এর নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন। এই সময় বেসরকারি খাতের কাছে আরো সুনির্দিষ্ট এবং গঠনমূলক বাজেট প্রস্তাবনা আহ্বান করেন তিনি।

সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন এফবিসিসিআই’র প্রশাসক মো. হাফিজুর রহমান। এই সময় বৈশ্বিক প্রতিযোগিতা সক্ষমতা সূচকে বাংলাদেশের অবস্থানকে দৃঢ় করতে ব্যবসায়িক খরচ (কষ্ট অব ডুয়িং বিজনেস) কমিয়ে আনা, বিনিয়োগ আকর্ষণ ও সুরক্ষা, বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধি, সুষম বিনিয়োগ সহায়ক মুদ্রা ও শুল্ক ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা, শিপিং ও পরিবহণ ব্যয় হ্রাস, সাশ্রয়ী ও গুণগত জ্বালানি নিশ্চিতকরণ, স্বচ্ছতা ও সুশাসন বাস্তবায়নের পাশাপাশি কর আদায়ের ক্ষেত্রে হয়রানি ও জটিলতা দূরীকরণের মাধ্যমে ব্যবসা-বান্ধব কর ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে আগামী বাজেটে বিশেষ অগ্রাধিকার দেয়ার আহ্বান জানান এফবিসিসিআই’র প্রশাসক।

সভাপতির বক্তব্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) -এর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান বলেন, এনবিআর এবং ব্যবসায়ীদের মধ্যে দূরত্ব কমাতে কর ব্যবস্থাপনার ডিজিটাইজেশন একটি বড় ভূমিকা রাখবে। ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন সেবা ও অভিযোগ নিয়ে কাজ করার লক্ষ্যে সরকার বিভিন্ন ডিজিটাইজেশন প্রকল্প হাতে নিয়েছে বলে জানান তিনি।

সভায় উন্মুক্ত আলোচনায় অংশ নিয়ে দেশের ব্যবসার পরিবেশ উন্নয়নে খাতভিত্তিক প্রস্তাবনা তুলে ধরেন বিভিন্ন চেম্বার ও অ্যাসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দ।

সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআই’র সাবেক সভাপতি আব্দুল আউয়াল মিন্টু, বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মইনুল খান, এফবিসিসিআই’র মহাসচিব মো. আলমগীর, অর্থ মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।