বাসস
  ০৫ মার্চ ২০২৫, ২০:৩১

চট্টগ্রাম বন্দরে খালাসের অপেক্ষায় ভারত-পাকিস্তানের ৩৭ হাজার ২৫০ মেট্রিক টন চাল

চট্টগ্রাম বন্দর। ছবি: বাসস

চট্টগ্রাম, ৫ মার্চ, ২০২৫ (বাসস): জিটুজি ভিত্তিতে ভারত ও পাকিস্তান থেকে আমদানি করা ৩৭ হাজার ২৫০ মেট্রিক টন চাল নিয়ে দুটি জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছেছে। 

জাহাজ দুটি বর্হিনোঙর থেকে বন্দরের কন্টেইনার টার্মিনালে নোঙর করা হয়েছে খালাসের জন্য। এর মধ্যে পাকিস্তান থেকে ২৬ হাজার ২৫০ মেট্রিক টন আতপ চাল এবং ভারত থেকে ১১ হাজার মেট্রিক টন সিদ্ধ চাল আমদানি করা হয়।

আজ বুধবার দুপুর নাগাদ পাকিস্তান ও ভারত থেকে চাল নিয়ে আসা জাহাজ দুটি চট্টগ্রাম বন্দরের কনটেইনার টার্মিনালে নোঙর করেছে। 

সবকিছু ঠিক থাকলে জাহাজ দুটিতে রক্ষিত চালের নমুনা পরীক্ষা শেষে আজ রাতেই চাল খালাস শুরু হবে বলে জানিয়েছেন খাদ্য বিভাগের চলাচল ও সংরক্ষণ নিয়ন্ত্রক দফতরের কর্মকর্তারা। পাকিস্তান থেকে সরকারি উদ্যোগে আমদানি করা চালের প্রথম চালান এটি। 

খাদ্য বিভাগের চলাচল ও সংরক্ষণ নিয়ন্ত্রক দফতরের কর্মকর্তারা বলেছেন, স্বাধীনতার পর এই প্রথম বাংলাদেশ-পাকিস্তান সরকারি ব্যবস্থায় সরাসরি বাণিজ্য চালু হলো। দুই দেশের মধ্যে সরকারি পর্যায়ে (জি-টু-জি) সই করা চুক্তির আওতায় কেনা চালের প্রথম চালান এসেছে।

খাদ্য বিভাগের চলাচল ও সংরক্ষণ নিয়ন্ত্রকের দফতর জানিয়েছে, পাকিস্তান থেকে ৫০ হাজার মেট্রিক টন আতপ চাল আমদানি নিয়ে গত ১৪ জানুয়ারি ঢাকায় সরকারি পর্যায়ে একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়। 

খাদ্য অধিদফতর এবং ট্রেডিং করপোরেশন অব পাকিস্তানের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। 

জি-টু-জি ভিত্তিতে আমদানির জন্য ট্রেডিং করপোরেশন অব পাকিস্তানের চেয়ারম্যান সৈয়দ রাফিও বশির শাহ এবং খাদ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক আব্দুল খালেক সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন। 

এই চুক্তির আওতায় চালের প্রথম চালান নিয়ে আসা জাহাজটি মঙ্গলবার (৪ মার্চ) রাত ২টায় চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে পৌঁছে। আজ বুধবার বেলা ২টায় জাহাজটি বন্দরের সিসিটি-১ ভিড়েছে। রাতেই চাল খালাস শুরু হবে।  

চট্টগ্রামের চলাচল ও সংরক্ষণ নিয়ন্ত্রক দফতরের নিয়ন্ত্রক জ্ঞানপ্রিয় বিদূর্ষি চাকমা বলেন, ‘পাকিস্তান থেকে চুক্তির ৫০ হাজার মেট্রিক টন আতপ চালের মধ্যে প্রথম চালানে ২৬ হাজার ২৫০ মেট্রিক টন চাল বন্দরে পৌঁছেছে। আমদানি চালের নমুনা পরীক্ষা ও সার্ভে শেষ হলে খালাস শুরু হবে। আশা করছি সব প্রক্রিয়া শেষে বুধবার রাত থেকে খালাস শুরু করা যাবে। আমদানির বাকি চাল নিয়ে আরেকটি জাহাজ আগামী সপ্তাহে চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছার কথা রয়েছে।’

চট্টগ্রামের চলাচল ও সংরক্ষণ নিয়ন্ত্রকের দফতরের খাদ্য পরিদর্শক মহিউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী বলেন, একটি জাহাজ থেকে দৈনিক প্রায় তিন হাজার মেট্রিক টনের মতো চাল খালাস সম্ভব হয়। সে অনুযায়ী পাকিস্তান থেকে আসা জাহাজের ২৫ হাজার ২৫০ মেট্রিক টন চাল খালাস করতে আট দিন লাগতে পারে।

চট্টগ্রাম বন্দরে গত মাসে ৯৩ হাজার ৭৮৩ মেট্রিক টন চাল খালাস হয়েছে। এসব চাল ভারত ও মিয়ানমার থেকে আমদানি করা হয়েছে।