বাসস
  ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ২০:৩২
আপডেট : ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ২০:৩৩

মেলবোর্নের উইকেট আদর্শ নয় : স্টোকস

ঢাকা, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫ (বাসস) : অ্যাশেজের চতুর্থ টেস্ট দু’দিনে শেষ হওয়ায় মেলবোর্নের উইকেটকে আদর্শ নয় বলে মন্তব্য করেছেন ইংল্যান্ডের অধিনায়ক বেন স্টোকস। তার মতে, দু’দিনে খেলা শেষ হয়েছে। এটিকে আদর্শ বলা যায় না।

স্টোকসের সাথে তাল না মেলালেও অস্ট্রেলিয়ার ভারপ্রাপ্ত অধিনাক স্টিভেন স্মিথ মনে  করেন, মেলবোর্নের উইকেট থেকে বোলাররা বেশি সুবিধা পেয়েছে।

প্রথম তিন টেস্ট হেরে আগেভাগেই পাঁচ ম্যাচের অ্যাশেজ সিরিজ হার নিশ্চিত করে ইংল্যান্ড। তাই ব্যাকফুটে থেকেই চতুর্থ টেস্ট খেলতে নামে ইংলিশরা।

মাত্র দু’দিনেই চতুর্থ টেস্ট ৪ উইকেটে জিতে ৫৪৬৮ দিনের অপেক্ষা অবসান ঘটায় ইংল্যান্ড। ১৮ ম্যাচ ও ১৫ বছর পর অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে টেস্ট ম্যাচ জয়ের স্বাদ নেয় তারা। সর্বশেষ ২০১১ সালের জানুয়ারিতে সিডনিতে টেস্ট জিতেছিল ইংলিশরা।

মেলবোর্নের টেস্ট সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। কারণ এই টেস্টে খেলা হয়েছে মাত্র ৮৫৭ বল। ম্যাচ নিষ্পত্তিতে বল বিবেচনায় অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে দ্বিতীয় সর্বনিম্ন ম্যাচের দৈর্ঘ্য এটি। ১৯৩২ সালে মেলবোর্নে ৬৫৬ বলে নিষ্পত্তি হয়েছিল অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকার টেস্ট।

এছাড়া পেস সহায়ক উইকেটে হওয়া এই টেস্টে কোন ব্যাটারই হাফ-সেঞ্চুরির গন্ডিও স্পর্শ করতে পারেনি। সর্বশেষ ১৯৮১ সালে অ্যাশেজ সিরিজের টেস্ট নিষ্পত্তি হয়েছে ব্যাটারদের হাফ-সেঞ্চুরি ছাড়া। সেটি ছিল ইংল্যান্ডের বার্মিংহামে।

তাই ম্যাচ জিতেও, চতুর্থ টেস্টের উইকেট নিয়ে সমালোচনা করেছেন স্টোকস। ম্যাচ শেষে তিনি বলেন, ‘আমরা টেস্ট জিতেছি। কিন্তু সত্যি বলতে, পিচের এমন আচরণ আমাদের প্রত্যাশার মধ্যে ছিল না। দুই দিনেরও কম সময়ে নিষ্পত্তি হল টেস্টের। এটি আদর্শ উইকেট নয়।’

উইকেটকে আদর্শ না বললেও, দীর্ঘদিন পর অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে জয় পাওয়ায় খুশি স্টোকস। তিনি বলেন, ‘সিরিজের প্রথম তিন টেস্ট হারের পর, জয় পেয়ে ভাল লাগছে। এখন পর্যন্ত চলতি সফরটা বেশ কঠিন যাচ্ছে। কিন্তু দীর্ঘ সময় পর অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে জয় পাওয়া দলের সদস্য হতে পেরে গর্বিত।’

উইকেট নিয়ে নেতিবাচক কিছু না বললেও, বোলারদের কৃতিত্ব দিলেন স্মিথ। তিনি বলেন, ‘টেস্টটা খুব দ্রুতই শেষ হল। উইকেট আসলে তেমন বদলায়নি। পুরো ম্যাচেই বেশি মুভমেন্ট হয়েছে। আমার মনে হয় এটা বোলারদের জন্য বেশি সহায়ক ছিল। দুই দিনে ৩৬ উইকেট পড়েছে, এটিই একটু বেশি-বেশি হয়ে গিয়েছে।’