শিরোনাম
ঢাকা, ১৫ অক্টোবর ২০২৫ (বাসস) : বাঁ-হাতি স্পিনার নোমান আলির দুর্দান্ত বোলিংয়ে লাহোরে প্রথম টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৯৩ রানে পরাজিত করেছে পাকিস্তান।
২৭৭ রানের জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নেমে চতুর্থ দিনে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়ন দক্ষিণ আফ্রিকা ১৮৩ রানে গুটিয়ে যায়। ম্যাচ সেরা নোমান প্রথম ইনিংসে ১১২ রানে ৬টি ও দ্বিতীয় ইনিংসে ৭৯ রানে ৪টি, মোট ১৯১ রানে ১০ উইকেট দখল করেছেন। এনিয়ে ক্যারিয়ারে তৃতীয়বার ১০ কিংবা তার বেশী উইকেট দখলের কৃতিত্ব দেখালেন নোমান।
লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামের পিচে চতুর্থ দিনে বল অনেকটাই তীক্ষ্মভাবে টার্ন নিচ্ছিল। লো বাউন্স ও টার্নিংয়ের সুবিধাকে পুরোপুরি কাজে লাগিয়েছেন নোমান। যদিও সকালে পঞ্চম উইকেটে ডেওয়াল্ড ব্রেভিস ও রায়ান রিকেলটনের ৭৩ রান দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংসকে কিছুটা হলেও এগিয়ে নিয়ে গেছে।
সব মিলিয়ে দুই দলের স্পিনাররা ৩৪ উইকেট দখল করেছেন, মাত্র ৬টি গেছে ফাস্ট বোলারদের দখলে।
প্রোটিয়া বাঁ-হাতি স্পিনার সেনুরান মুথুসামি ১৭৪ রানে নিয়ে ১১ উইকেট।
প্রথম ইনিংসে পাকিস্তানের ৩৭৮ রানের জবাবে দক্ষিণ আফ্রিকা করেছিল ২৬৯ রান। কিন্তু দ্বিতীয় ইনিংসে পাকিস্তানের ব্যাটাররা দাঁড়াতেই পারেনি। মুথুসামির ৫ উইকেটে সাথে আরেক স্পিনার সাইমন হার্মারের ৪ উইকেট প্রাপ্তিতে স্বাগতিকদের ইনিংস ১৬৭ রানে গুটিয়ে যায়।
টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে পাকিস্তানের শান মাসুদের এটা ১৩ ম্যাচে চতুর্থ জয়। বাকি নয়টিতে হেরেছে তার দল।
বুধবার চতুর্থ দিনে মধ্যাহ্ন বিরতির সময় দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর ছিল ৬ উইকেটে ১৩৭। বিরতির পরপরই সাজিদ খান মুথুসামির উইকেট তুলে নেন। পেসার শাহিন শাহ আফ্রিদি কাইল ভেরেইনে (১৯), প্রেনেরান সুব্রায়েন (৮) ও কাগিসো রাবাদাকে দ্রুত সাজঘরে পাঠিয়ে ৩৩ রানে ৪ উইকেট দখল করেন।
ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশীপের নতুন চক্র জয় দিয়ে দারুনভাবে শুরু করলো পাকিস্তান।
আগামী সোমবার থেকে রাওয়ালপিন্ডিতে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট শুরু হবে।
এদিকে টানা ১০ জয়ের পর অবশেষে পরাজয়ের তিক্ত স্বাদ পেল দক্ষিণ আফ্রিকা। জুনে লর্ডসে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশীপের শিরোপা জয় করেছিল তারা।
পরাজয়ের পর অধিনায়ক আইডেন মার্করাম বলেছেন প্রথম ইনিংসে ১০৯ রানের ঘাটতি ম্যাচে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। বিশেষ করে ষষ্ঠ উইকেটে মোহাম্মদ রিজওয়ান ও সালমান আগার ১৬৩ রানের জুটির প্রশংসা করেছেন মার্করাম। তার মতে প্রথম ইনিংসে আরো কিছু রান যোগ করতে পারলে ম্যাচে লড়াই করার মানসিকতা থাকতো।
ব্রেভিস একমাত্র ব্যাটার হিসেবে পাকিস্তানী স্পিনারদের বিপক্ষে লড়াই চালিয়ে গেছেন। ছয়টি বাউন্ডারি ও দুটি ওভার বাউন্ডারিতে তার ব্যাট থেকে এসেছে ক্যারিয়ার সেরা ৫৪ রান। এছাড়া রিকেলটন করেছেন ৪৫ রান।