শিরোনাম
ঢাকা, ১৯ আগস্ট, ২০২৫ (বাসস) : আজ রাজধানীর একটি হোটেলে ‘শেয়ার এন্ড কেয়ার’ শিরোনামে ক্রিকেটারদের সাথে খোলামেলা আলোচনা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুলের নেতৃত্বাধীন এই আলোচনায় বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের খেলোয়াড়, কোচিং স্টাফ, টিম ম্যানেজমেন্ট, বিসিবি ডিরেক্টর এবং টিম অপারেশনের সাথে জড়িত ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও ছিলেন।
এই আলোচনা সভার উদ্দেশ্য ছিল- অভ্যন্তরীণ বিষয়গুলোকে আরও শক্তিশালী করা, সরাসরি যোগাযোগকে উৎসাহিত করা, খোলামেলা এবং সৎভাবে আলোচনা এবং সম্মিলিতভাবে মূল্যবোধের প্রতিফলন করা যা দল ও বোর্ডকে নির্দেশ করে থাকে।
অনুষ্ঠান শেষে বিসিবি সভাপতি বলেন, ‘আজকের আলোচনাটি বাংলাদেশ ক্রিকেটের সাথে জড়িত সবার জন্য একটি শক্তিশালী, আরও ঐক্যবদ্ধ পরিবেশ গড়ে তোলার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ ছিল। আমাদের খেলোয়াড় এবং টিম ম্যানেজমেন্ট থেকে সরাসরি শুনতে পারা অবিশ্বাস্যভাবে মূল্যবান ছিল এবং শেয়ার করা মতামতের উপর কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। স্বচ্ছ যোগাযোগ হল ব্যবধান কমিয়ে আনার চাবিকাঠি, বিশ্বাসকে শক্তিশালী করা এবং নিশ্চিত করা যে আমাদের সবার লক্ষ্য এক।’
তিনি আরও বলেন, ‘এটি আমাদের একে অপরের কথা শুনতে, বিভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি বুঝাতে এবং উদ্দেশ্য নিয়ে একসাথে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দেয়। আমরা বিশ্বাস করি, যখন আমরা একটি দল হিসাবে এগিয়ে যাই, তখন আমরা মাঠে এবং মাঠের বাইরে সাফল্যের ভিত্তি স্থাপন করি।’
ধারাবাহিক পারফরমেন্সের উপর জোর দিয়ে বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক লিটন দাস বলেন, ‘আমরা প্রতিদিন মাঠে যে কঠোর পরিশ্রম করি তা সবাই দেখতে পায়, কিন্তু অনেকেই সবসময় এসবের পেছনের প্রক্রিয়া দেখতে পায় না। আমাদের জন্য এটি আমাদের প্রচেষ্টার প্রতি সৎ থাকা এবং নিজেদের ওপর আস্থা রাখা। আমরা যদি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং মনোযোগী থাকি, তাহলে আমি বিশ্বাস করি যে এই নিষ্ঠা আগামী দিনে ফলাফলে রূপান্তরিত হবে।’
সুযোগ-সুবিধা এবং দক্ষতার উপর জোর দিয়ে বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক মেহেদি হাসান মিরাজ বলেন, ‘খেলোয়াড় হিসেবে, আমরা সবচেয়ে বেশি উপকৃত হই যখন আমাদের সারা বছর ধরে শক্তিশালী সমর্থন থাকে। এই কারণেই আমাদের স্থানীয় স্টাফদের ওপর বিনিয়োগ এবং বিকাশ করা গুরুত্বপূর্ণ। যখন আমরা এই শক্তিগুলোকে একত্রিত করি, তখন আমরা এমন একটি পরিবেশ তৈরি করি যেখানে খেলোয়াড়রা সত্যিকার অর্থে বেড়ে উঠতে পারে এবং তাদের সেরাটা দিতে পারে।’
নিজের অভিমত তুলে ধরে প্রধান কোচ ফিল সিমন্স বলেন, ‘জাতীয় দল বাংলাদেশ ক্রিকেটের ফ্ল্যাগশিপ এবং এখানে প্রতিভাবান তরুণদের সম্ভাবনা অনেক বেশি। খুব কম দলই এ ধরণের কঠোর পরিশ্রম করে। কিন্তু প্রতিভা এবং প্রচেষ্টাকে ঐক্য ও নির্দেশনার মাধ্যমে সমর্থন করতে হবে। আমাদের লক্ষ্যগুলো সাজাতে হবে, একে অপরকে সমর্থন করতে হবে এবং একসাথে গড়ে তুলতে হবে। কারণ এভাবেই দীর্ঘমেয়াদী সাফল্য পাওয়া যায়।’