শিরোনাম
ঢাকা, ১৯ আগস্ট ২০২৫ (বাসস) : ফাইনালের প্রথম সেটে অসুস্থতার কারনে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ইয়ানিক সিনার ম্যাচ ছেড়ে দেয়ায় এটিপি সিনসিনাতি ওপেনের শিরোপা জয় করেছেন কার্লোস আলকারাজ।
অসুস্থতা নিয়ে ফাইনালে কোর্টে নেমেছিলেন বিশ্বের এক নম্বর খেলোয়াড় সিনার। ম্যাচের শুরুতেই সাত পয়েন্ট হারিয়ে ৫-০ গেমে পিছিয়ে পড়েন। এরপরপরই তিনি ম্যাচ ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন। যুক্তরাষ্ট্রের সিনসিনাতি শহরের ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় সিনারের আর কোর্টে নামা সম্ভব হয়নি।
আগামী রোববার থেকে শুরু হওয়া বছরের শেষ গ্র্যান্ড স্ল্যাম ইউএস ওপেনে সুস্থ হয়ে ফিরে আসার উপর এখন নজড় দিবেন সিনার।
ফাইনালের লড়াইয়ে নিজেকে মেলে ধরতে না পেরে হতাশ সিনার বলেছেন, ‘আমি দারুন হতাশ। গতকাল থেকেই আমি অসুস্থ বোধ করছি। রাতে মনে হয়েছিল পরিস্থিতি কিছুটা কাটিয়ে উঠতে পারবো। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আর তা হয়নি। আমি শুধুমাত্র সমর্থকদের কারনে আজ কোর্টে এসেছি। তারা ফাইনার ম্যাচ দেখতে স্টেডিয়ামে এসেছে। শুধুমাত্র এ কারনেই আমি এখানে এসেছি। কিন্তু আজকের দিনটা আমার ছিলনা। আমি কোন কিছুই কার্লোসের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিতে চাইনি। তার একটি দারুন সপ্তাহ, দারুন একটি টুর্নামেন্ট কেটেছে।’
সিনার আরো জানিয়েছেন এখন তিনি বছরের শেষ গ্র্যান্ড স্ল্যামের দিকে নজড় দিবেন, ‘আমরা এখন মূল লক্ষ্য অবশ্যই ইউএস ওপেন। সুস্থতা সবচেয়ে বেশী জরুরী। এরপর দেখা যাক কি হয়।’
সামান্য কিছু অসুস্থতা ছাড়া এ বছরটা নিয়ে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন সিনার, ‘আমি মনে করি এ বছরটা অসাধারণ কেটেছে। আমরা নিজেদের এগিয়ে নিয়ে যাবার চেষ্টা করেছি।
ইউএস ওপেনে যদি খেলতে পারি তবে কিছু কিছু জায়গায় উন্নতির প্রয়োজন রয়েছে। এ সপ্তাহে ভাল একটি পরীক্ষা হয়ে গেল। নিজের মান সম্পর্কে আরো ভালভাবে জানার সুযোগ পেলাম।’
ফাইনালে মাত্র ২২ মিনিট কোর্টে ছিলেন সিনার। প্রথম সেটের পঞ্চম গেমে হারের পর কোর্টে চিকিৎসক ডাকা হয়। এর কিছুক্ষন পরেই তিনি ম্যাচ ছাড়ার ঘোষনা দেন ও আলকারাজের সাথে হ্যান্ডশেক করেন।
এনিয়ে টানা দ্বিতীয় ম্যাচে আলকারাজের প্রতিপক্ষ অসুস্থতার কারনে ম্যাচ ছেড়ে দিল। এর আগে সেমিফাইনালে আলেক্সান্দার জেভরেভও অসুস্থতার কারনে ম্যাচ থেকে সড়ে দাঁড়িয়েছিলেন।
এনিয়ে মাস্টার্স টুর্নামেন্টে টানা ১৭তম ম্যাচে জয়ী হলেন আলকারাজ। ক্যারিয়ারে এটি তার ২২তম শিরোপা।
এনিয়ে সিনারের বিপক্ষে জয়ের দিক থেকে ৯-৫ গেমে এগিয়ে আছেন আলকারাজ। গত মাসে উইম্বলডনের
ফাইনালে সিনারের কাছে সর্বশেষ পরাজিত হয়েছিলেন।
ম্যাচ শেষে স্প্যানিয়ার্ড আলকারাজ বলেছেন, ‘অবশ্যই এভাবে আমি ফাইনালে জিততে চাইনি। প্রথমত আমি ইয়ানিকের দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি। আশা করছি কয়েকদিনের মধ্যে তিনি পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠতে পারবেন। এবং ইউএস ওপেনের জন্য যথাযথ প্রস্তুতি নিতে পারবেন।
আমার ক্ষেত্রে বলবো ২০২৩ সালের ফাইনালে আমি যখন নোভাক জকোভিচের কাছে পরাজিত হয়েছিলাম তখন থেকেই এই শিরোপা জয়ের জন্য মুখিয়ে ছিলাম। অবশেষে এই শিরোপা হাতে পেয়ে আমি সত্যি দারুন গর্বিত।’