শিরোনাম

ঢাকা, ২৪ জুন ২০২৫ (বাসস) : আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আজ মঙ্গলবার ঢাকাসহ ৭টি বিভাগীয় শহরে অলিম্পিক ডে ২০২৫ উদযাপন করা হয়।
এ উপলক্ষে কেন্দ্রীয়ভাবে বাংলাদেশ শিশু একাডেমি প্রাঙ্গণে অনাড়ম্বর পরিবেশে সকাল ৬:৩০ টায় বিওএ’র সভাপতি ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, এসবিপি, ওএসপি, এসজিপি, পিএসসি বেলুন উড়িয়ে র্যালীর শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন।
র্যালীটি বাংলাদেশ শিশু একাডেমি প্রাঙ্গণ হতে আরম্ভ হয়ে শিক্ষা ভবন-বাংলাদেশ সচিবালয়-জিরো পয়েন্ট-জিপিও-জাতীয় স্টেডিয়ামের ১নং গেট হয়ে জাতীয় স্টেডিয়াম এসে শেষ হয়।
র্যালীতে বিওএ’র সদস্যবৃন্দ, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন ক্রীড়া ফেডারেশন, এসোসিয়েশন, ক্লাব, বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনী, বিজিবি, পুলিশ, আনসার ও ভিডিপি ক্রীড়া নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের খোলোয়াড়, বিভিন্ন স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রী এবং বিভিন্ন সংগঠন/সংস্থার ক্রীড়া সংগঠকসহ ক্রীড়ানুরাগী ব্যক্তিবর্গ অংশগ্রহন করেন। র্যালী শেষে অংশগ্রহনকারীদের মাঝে সার্টিফিকেট বিতরন করা হয়।
এরপর পতাকা উত্তোলনের মধ্যে দিয়ে সমাপনী অনুষ্ঠানের কার্যক্রম শুরু হয়। এসময় জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন বিওএ’র সভাপতি ও সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, এসবিপি, ওএসপি, এসজিপি, পিএসসি, আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির পতাকা উত্তোলন করেন বিওএ’র মহাসচিব সৈয়দ শাহেদ রেজা এবং বিওএ’র পতাকা উত্তোলন করেন অলিম্পিক ডে সাংগঠনিক কমিটির আহবায়ক এবং বিওএ’র উপ-মহাসচিব আশিকুর রহমান মিকু।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এনসিডিসি-র ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার ড. সজীব রায় ফিজিক্যাল একটিভিটির গুরুত্ব সম্পর্কে একটি সচেতনতামূলক বক্তব্য প্রদান করেন।
বাংলাদেশ হতে যে সকল ক্রীড়াবিদ অলিম্পিক গেমসে অংশগ্রহণ করেছেন সে সকল বরেণ্য ক্রীড়াবিদ/অলিম্পিয়ানদের মাঝে অলিম্পিক ডে সার্টিফিকেট বিতরণ করেন বিওএ সভাপতি।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিওএ’র সভাপতি বলেন, বিভিন্ন প্রকার ক্রীড়া একটিভিটির প্রচার ও প্রসারের মাধ্যমে ফিজিক্যাল একটিভিটির উপর বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিয়েশন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। ফিজিক্যাল একটিভিটি না করার কারনে আমরা হাইপার টেনশন, ডায়াবেটিস, হৃদরোগসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে যাচ্ছি। আমরা ভাল খাবার না খেয়ে লবন ও তৈলাক্ত জাতীয় খাবার গ্রহণ করছি। এ ক্ষেত্রে আমরা যদি ফিজিক্যাল একটিভিটিস গুলো ধরে রাখতে পারি তাহলে আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্ম সুস্থ থাকবে এবং দেশ ও জাতি গঠনে কাজ করে যেতে পারবে। ঢাকা শহরে খেলার মাঠ কমে যাচ্ছে। বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় আমরা এ ধরনের প্রোগ্রাম আয়োজনের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখবো। আমরা অতীতে ফিজিক্যাল একটিভিটির অংশ হিসেবে ম্যারাথন প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছি। সেখানে একই পরিবারের মা-বাবা সন্তানেরা স্বতঃস্ফুর্তভাবে অংশগ্রহণ করেছে। এটা আমাদেরকে আশান্বিত করে।
সভাপতি অনুষ্ঠান আয়োজনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, বাংলাদেশ পুলিশ, বাংলাদেশ শিশু একাডেমি, জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ, পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠানসহ র্যালীতে অংশগ্রহণকারী সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।