বাসস
  ২৪ জুন ২০২৫, ১৭:০১

দুই মাইলফলকের সামনে দাঁড়িয়ে লিটন

ঢাকা, ২৪ জুন ২০২৫ (বাসস) : আগামীকাল কলম্বোর সিংহলিজ স্পোর্টস ক্লাব (এসএসসি) মাঠে শ্রীলংকার বিপক্ষে দুই ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট খেলতে নামছে সফরকারী বাংলাদেশ। এ ম্যাচকে সামনে রেখে দু’টি মাইলফলকের সামনে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশের উইকেটরক্ষক-ব্যাটার লিটন দাস। 

দ্বিতীয় টেস্টের একাদশে থাকলেই বাংলাদেশের দশম খেলোয়াড় হিসেবে টেস্টে ৫০তম ম্যাচ খেলার মাইলফলক স্পর্শ করবেন লিটন। ২০১৫ সালের জুনে ফতুল্লায় ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে টেস্ট অভিষেক হয়েছিল লিটনের। অভিষেক টেস্টের এক ইনিংসে ব্যাট করার সুযোগ পেয়ে ৮টি চার ও ১টি ছক্কায় ৪৫ বলে ৪৪ রান করেন এই ডান-হাতি ব্যাটার। 

এরপর দেশের হয়ে সর্বমোট ৪৯ টেস্ট খেলেন লিটন। ৪টি সেঞ্চুরি ও ১৮টি হাফ-সেঞ্চুরিতে ৩৪.২৯ গড়ে ২৮৮১ রান করেন তিনি। 

লিটনের আগে বাংলাদেশের হয়ে টেস্টে নয়জন ক্রিকেটার ৫০ বা তার বেশি টেস্ট খেলেছেন। তারা হলেন- মুশফিকুর রহিম (৯৭ ম্যাচ), মোমিনুল হক (৭২ ম্যাচ), সাকিব আল হাসান (৭১ ম্যাচ), তামিম ইকবাল (৭০ ম্যাচ), মোহাম্মদ আশরাফুল (৬১ ম্যাচ), তাইজুল ইসলাম (৫৪ ম্যাচ), মেহেদি হাসান মিরাজ (৫৩ ম্যাচ), হাবিবুল বাশার (৫০ ম্যাচ) এবং মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ (৫০ ম্যাচ)।

এছাড়া বাংলাদেশের উইকেটরক্ষক হিসেবে টেস্টে সর্বোচ্চ ডিসমিসালের মালিক হবার সুযোগ লিটনের সামনে। বর্তমানে সর্বোচ্চ ডিসমিসালে সাবেক অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমের পাশেই বসে আছেন লিটন। 

দু’জনেরই সমান ১১৩টি করে ডিসমিসাল আছে। ডিসমিসালে ক্যাচ ও স্ট্যাম্পিংয়েও একই কাতারে মুশফিক-লিটন। দু’জনই সমান ৯৮টি করে ক্যাচ এবং ১৫টি করে স্টাম্পড আউট করেছেন। 

তবে মুশফিকের চেয়ে ৪৮ ম্যাচ কম খেলেছেন লিটন। মুশফিক ৯৭ ও লিটন ৪৯ টেস্ট খেলেছেন। 

এই তালিকায় তৃতীয় স্থানে আছেন আরেক সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাসুদ। ২০০০ থেকে ২০০৭ পর্যন্ত টেস্ট খেলা মাসুদ ৪৪ ম্যাচে ৮৭টি ডিসমিসাল আছে। এরমধ্যে ৭৮টি ক্যাচ এবং ৯টি স্টাম্পড আউট করেছেন বাংলাদেশের অভিষেক টেস্টের উইকেটরক্ষক মাসুদ।

চতুর্থ স্থানে আছেন নুরুল হাসান। ১১ ম্যাচে ২৫টি ক্যাচ এবং ৯টি স্ট্যাম্পিংয়ে ৩৪ ডিসমিসাল আছে নুরুলের।