বাসস
  ১৭ জুন ২০২৫, ২০:৪৩

২০৩০ সালের মধ্যে নারী ফুটবল ভক্তের সংখ্যা ৮০ কোটিতে পৌঁছাবে

ঢাকা, ১৭ জুন ২০২৫ (বাসস) : পেপসিকোর সহযোগিতায় নিলসেন মিডিয়া রিসার্চ স্পোর্টসের একটি প্রতিবেদন অনুসারে, ২০৩০ সালের মধ্যে নারী ফুটবল বিশ্বের শীর্ষ পাঁচটি খেলার মধ্যে একটি হয়ে উঠবে, যেখানে বিশ্বব্যাপী ভক্ত সংখ্যা ৩৮% বৃদ্ধি পেয়ে ৮০ কোটিরও বেশি মানুষের কাছে পৌঁছাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

মঙ্গলবার প্রকাশিত ‘আন্ডারভ্যালুড টু আনস্টপেবল’ প্রতিবেদন অনুসারে, এই ভক্তদের প্রায় ৬০% নারী বলে ধারণা করা হচ্ছে। সেখানে আরো বলা হয়েছে ফুটবল এমন কয়েকটি খেলার মধ্যে একটি যেখানে পুরুষদের তুলনায় মহিলারা বেশি অনুরাগী।

২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বব্যাপী সম্প্রচার দর্শকদের সংখ্যাও প্রধান টুর্নামেন্টগুলিতে ৩০% বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

২০১৯ সালের টুর্নামেন্টের তুলনায় ২০২৩ সালের মহিলা বিশ্বকাপের জন্য স্পনসরশিপ চুক্তি তিনগুণ বৃদ্ধি পেলেও, সমীক্ষা অনুসারে, বিশ্বব্যাপী স্পনসরশিপ বাজেটের খুব সামান্য অংশই নারী ফুটবলের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে।

গবেষকরা যুক্তি দিয়েছিলেন যে ২০২৮ সালের মধ্যে গৃহস্থালিতে ক্রয়ের ৭৫% এরও বেশি সিদ্ধান্ত নারীদের হাতে থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

নিলসেন স্পোর্টস ইন্টারন্যাশনালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সামান্থা ল্যাম্বার্টি বলেন, ‘আমরা দীর্ঘদিন ধরে নারী ফুটবলের সম্ভাবনায় বিশ্বাসী। আজ আমরা আর কেবল অগ্রগতি অনুসরণ করছি না, আমরা একটি অগ্রগতির সাক্ষী হচ্ছি। মিডিয়া অধিকার থেকে শুরু করে স্পনসরশিপ এবং ভক্তদের সম্পৃক্ততা, এটি আর ভবিষ্যতের প্রতিশ্রুতির বিষয় নয় বরং বর্তমান মূল্যের বিষয়।’

নারী ফুটবল ইতোমধ্যেই বিশ্বের শীর্ষ ১০টি সর্বাধিক ক্রীড়া অনুসরণ করা খেলার একটিতে জায়গা করে নিয়েছে। ক্রমাগত এর জনপ্রিয়তা বাড়ছেই। গত বছর যুক্তরাষ্ট্রে ন্যাশনাল নারী সকার লিগ চ্যাম্পিয়নশীপে আগের বছরের তুলনায় ১৮ শতাংশ সমর্থক বেড়েছিল। 

নিলসেনের মতে, গত পাঁচ বছরে নারী ফুটবলে নারী সমর্থকের সংখ্যা ৬০% বৃদ্ধি পেয়েছে। চীনে এই প্রবণতা সবচেয়ে বেশি। এই সময়ের মধ্যে ব্রাজিল এবং ভারতে ১৮৬ মিলিয়ন নতুন ভক্তের সংখ্যা বেড়ছে।