শিরোনাম
ঢাকা, ৫ মে ২০২৫ (বাসস) : আইসিসি ওয়ানডে র্যাংকিংয়ে অবনতি হয়েছে বাংলাদেশ পুরুষ ক্রিকেট দলের। ৪ রেটিং হারিয়ে এক ধাপ নিচে নেমে গেছে টাইগাররা। ৭৬ রেটিং নিয়ে এখন দশম স্থানে আছে বাংলাদেশ।
তবে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টিতে নবম স্থান ধরে রেখেছে বাংলাদেশ।
আজ তিন ফরম্যাটের বাৎসরিক র্যাংকিংয়ের হালনাগাদ প্রকাশ করে ক্রিকেটের প্রধান নিয়ন্ত্রক সংস্থা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)।
২০২৪ সালের মে মাস থেকে দলগুলোর পারফরমেন্স শতভাগ বিবেচনায় নিয়ে এবং আগের দুই বছরে শতকরা ৫০ ভাগ নিয়ে র্যাংকিং করা হয়েছে।
গত বছরের মে থেকে এ পর্যন্ত আট ম্যাচ খেলে মাত্র একটিতে জিতেছে বাংলাদেশ।
গেল বছরের নভেম্বরে শারজাহ’তে আফগানিস্তানের কাছে তিন ম্যাচের সিরিজ ২-১ ব্যবধানে হারে বাংলাদেশ। এরপর ডিসেম্বরে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে তিন ম্যাচের সিরিজে হোয়াইটয়াশ হয় টাইগাররা।
এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে বাংলাদেশর তিন ম্যাচের মধ্যে ২টি হার ও ১টি পরিত্যক্ত হয়। ফলে ৪ রেটিং হারিয়েছে টাইগাররা।
বাংলাদেশ যেখানে রেটিং হারিয়েছে, সেখানে ৫ রেটিং পেয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। কারণ গত এক বছরে ৯ ওয়ানডে খেলে ৬টিতে জিতেছে ক্যারিবীয়রা। ৮৩ রেটিং নিয়ে বাংলাদেশকে টপকে নবম স্থানে উঠেছে বাংলাদেশ।
৪ রেটিং পেয়ে সপ্তম স্থানে উঠেছে আফগানিস্তান। ৯১ রেটিং আছে আফগানদের। র্যাংকিংয়ে অবনতি হয়েছে সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডেরও। ৪ রেটিং হারিয়ে অষ্টম স্থানে নেমে গেছে তারা। ৮৪ রেটিং আছে ইংলিশদের।
আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শিরোপা জয়ে র্যাংকিংয়ে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে ভারত। ১২৪ রেটিং নিয়ে শীর্ষে আছে টিম ইন্ডিয়া। ২ রেটিং বেড়েছে ভারতের।
১০৯ রেটিং নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির রানার্স-আপ নিউজিল্যান্ড। ১০৯ রেটিং আছে অস্ট্রেলিয়ারও। কিন্তু ভগ্নাংশের হিসেবে পিছিয়ে থাকায় তৃতীয় স্থানে আছে অসিরা।
চতুর্থ থেকে ষষ্ঠ স্থানে আছে যথাক্রমে- শ্রীলংকা (১০৪), পাকিস্তান (১০৪) ও দক্ষিণ আফ্রিকা (৯৬)।
টেস্টে শীর্ষ স্থান ধরে রেখেছে অস্ট্রেলিয়া। দুই ধাপ এগিয়ে দ্বিতীয় স্থানে উঠেছে ইংল্যান্ড। এক ধাপ করে পিছিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা তৃতীয় ও ভারত চতুর্থ স্থানে আছে। এছাড়া পঞ্চম থেকে অষ্টম স্থান পর্যন্ত আছে যথাক্রমে- নিউজিল্যান্ড, শ্রীলংকা, পাকিস্তান ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
টি-টোয়েন্টিতে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারত। দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে আছে অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ড।