বাসস
  ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৩:১২

সেন্টমার্টিনগামী জাহাজে অগ্নিকাণ্ডে নিহত ১, প্রাণে বেঁচে গেলেন ১৯৪ যাত্রী

বিআইডব্লিউটিএ ঘাটে সেন্টমার্টিনগামী জাহাজ ‘দি আটলান্টিক ক্রুজ’-এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ছবি : বাসস

কক্সবাজার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : কক্সবাজারের নুনিয়াছড়া বিআইডব্লিউটিএ ঘাটে সেন্টমার্টিনগামী জাহাজ ‘দি আটলান্টিক ক্রুজ’-এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় একজন নিহত হয়েছেন। তবে অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পেয়েছেন যাত্রার জন্য ঘাটে অপেক্ষারত ১৯৪ জন পর্যটক। 

নিহত নুর কামাল (৩৫), ঐ জাহাজের কর্মচারী ছিলেন। অগ্নিকাণ্ডের সময় তিনি জাহাজের একটি কক্ষে ঘুমন্ত অবস্থায় ছিলেন বলে জানা গেছে।

আজ শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে নুনিয়ারছড়া বিআইডব্লিউটিএ ঘাট সংলগ্ন বাঁকখালী নদীতে নোঙর করা অবস্থায় জাহাজটিতে হঠাৎ আগুন লেগে যায়। বেলা ১১টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসলেও অগ্নি নির্বাপণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট ও কোস্টগার্ডসহ প্রশাসনের স্বেচ্ছাসেবক দল।

সী ক্রুজ ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক হোসাইন ইসলাম বাহাদুর বলেন,  চৌধুরী গ্রুপ অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ প্রাইভেট লিমিটেড পরিচালিত ‘দি আটলান্টিক ক্রুজ’ জাহাজটি আজ সকালে সেন্টমার্টিনের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিল। নোঙর করা অবস্থায় জাহাজটিতে হঠাৎ আগুন লেগে যায়। এসময় ১৯৪ জন পর্যটক আজ এই জাহাজে করে সেন্টমার্টিন যাওয়ার কথা ছিলো। সৌভাগ্যবশত কেউ জাহাজে ওঠেননি। তারা ঘাটে অপেক্ষা করছিলেন। 

তিনি জানান, যাত্রীদের একটি অংশকে অন্য জাহাজে করে ধারণ ক্ষমতা অনুপাতে সেন্টমার্টিনে পাঠানো হয়েছে। বাকিরা আগামীকাল যাবেন।’

কক্সবাজার ফায়ারসার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপসহকারী পরিচালক সৈয়দ মুহাম্মদ মোরশেদ হোসেন বলেন, ‘জাহাজের এক কর্মচারীর সম্পূর্ণ ভস্মীভূত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি জাহাজের একটি কক্ষে ঘুমাচ্ছিলেন। আর কেউ আছেন কিনা খোঁজা হচ্ছে। আগুন লাগার কারণ এখনো নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছেনা।’।

আটলান্টিকের যাত্রী মোহাম্মদ ওবায়দুল ইসলাম বলেন, ‘ভাগ্য ভালো ছিলো জাহাজে ওঠা হয়নি। আল্লাহ রক্ষা করেছেন। নিজের চোখে আগুন জ্বলতে দেখলাম, ভয়াবহ অভিজ্ঞতা।’

অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মো. শাহিদুল আলম বলেন, জাহাজে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় প্রাথমিকভাবে ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। প্রয়োজনে কমিটির সদস্য সংখ্যা আরো বাড়ানো হবে। 

জেলা প্রশাসনের এ কর্মকর্তা বলেন, ‘যান্ত্রিক ত্রুটির কারণ কিংবা অন্য কোনো কারণে আগুন লেগেছে কিনা তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের পর বিস্তারিত জানা যাবে।’
গত ১ নভেম্বর থেকে সেন্টমার্টিন-কক্সবাজার নৌ রুটে জাহাজ চলাচল শুরু হলেও ১ ডিসেম্বর থেকে রাত যাপনের অনুমতি দিয়েছে সরকার। ১২ টি নির্দেশনা মেনে প্রতিদিন সর্বোচ্চ দুই হাজার পর্যটক পরিবহনের জন্য ৬ টি জাহাজ কর্তৃপক্ষের অনুমতি পেয়েছে।