শিরোনাম

রংপুর, ২৬ ডিসেম্বর, ২০২৫(বাসস) : জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্য সচিব আখতার হোসেন বলেছেন, খুনিদের গ্রেফতার ও যথাযথ শাস্তি নিশ্চিত করা গেলে রাজনীতিবিদসহ সাধারণ মানুষের নিরাপত্তায় কোনো গানম্যানের প্রয়োজন হবে না।
তিনি বলেন, ‘খুনিরা যদি অপরাধ করে পার পেয়ে যায়, তবে রাজনীতিবিদরা অনিরাপদই থাকবেন। তাই খুনিদের গ্রেফতার ও বিচার ছাড়া শুধু গানম্যান দিয়ে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব নয়।’
বৃহস্পতিবার বিকেলে রংপুর নগরীর পাবলিক লাইব্রেরি মাঠের সামনে ‘৩৬ জুলাই স্মৃতি চত্বরে’ সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
এর আগে, আখতার হোসেন তার নির্বাচনী এলাকা রংপুর-৪ (পীরগাছা-কাউনিয়া) আসনে নির্বাচনী প্রচারণা ও দলীয় কর্মসূচিতে অংশ নিতে রংপুরে পৌঁছান। পরে তিনি স্মৃতি চত্বরে গিয়ে দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
আখতার হোসেন বলেন, দেশের অপরাধী ও খুনিদের একটি ডাটাবেজ তৈরি করা প্রয়োজন। এই ডাটাবেজই সবার জন্য প্রকৃত নিরাপত্তা বলয় হিসেবে কাজ করবে। খুনিরা বাইরে ঘুরে বেড়াবে আর আমরা গানম্যান নিয়ে চলব, এভাবে নিরাপত্তা আসতে পারে না। বিচার নিশ্চিত হলে গানম্যানের দরকার হবে না।
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশকে রক্ষা করতে এবং শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরের পরিবেশ তৈরি করতে হলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি করতে হবে। সাধারণ মানুষ যাতে শান্তিতে নির্বাচনে অংশ নিতে পারে, সরকারকে সেই পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।’
এনসিপি সদস্য সচিব বলেন, শহীদ ওসমান হাদি ভাইয়ের হত্যাকাণ্ডে জড়িতরা দেশে আছে নাকি ভারতে পালিয়ে গেছে, সে বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী স্পষ্ট করে কিছু বলতে পারছে না।
তিনি বলেন, ‘আমরা চাই এই হত্যার নেপথ্যে থাকা পুরো চক্রকে দ্রুত খুঁজে বের করে শাস্তি দেওয়া হোক। খুনি তো সবার চেনা, সবকিছুই প্রকাশ্য। একজনের পক্ষে এমন হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে পালিয়ে থাকা সম্ভব নয়। এর পেছনে একটি বড় চক্র কাজ করছে।’
তিনি আরও বলেন, খুনিদের বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত হলে দেশের মানুষ নিরাপদ থাকবে এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হবে।
আখতার হোসেন বলেন, ‘বিভিন্নভাবে নির্বাচনে বাধা দেওয়ার চেষ্টা চলছে। আমরা চাই শহীদ ওসমান হাদি ভাইয়ের হত্যার বিচার হোক এবং হত্যাকারীরা গ্রেফতার হোক। এ ধরনের হত্যাকাণ্ড যেন আর না ঘটে সেটা সরকারকে নিশ্চিত করতে হবে।’
আখতার হোসেন অভিযোগ করেন, ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ ও তাদের দোসররা দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে। গণঅভ্যুত্থানের পরপরই তাদের আইনের আওতায় আনা সম্ভব ছিল।
এ সময় এনসিপি রংপুর জেলা কমিটির আহ্বায়ক মো. আল মামুন, মহানগরের সদস্য সচিব আব্দুল মালেক, জেলা যুগ্ম আহ্বায়ক আলমগীর নয়ন ও আবু রায়হান, রংপুর-৪ নির্বাচনী পরিচালনা কমিটির প্রধান সমন্বয়ক আবদুল্লাহ-আল মামুন এবং এনসিপি নেতা তৌফিক ইসলামসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।