বাসস
  ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৫:৫৭

তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের সাক্ষী হতে ঢাকার পথে সিলেটের বিপুলসংখ্যক নেতা-কর্মী

ফাইল ছবি

সিলেট, ২৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : দেশের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের সাক্ষী হতে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়েছেন সিলেটের কয়েক হাজার নেতা-কর্মী।

আগামীকাল বৃহস্পিতবার লন্ডন থেকে প্রায় ১৭ বছর পর বিএনপি’র শীর্ষ এই নেতার দেশে ফেরা উপলক্ষ্যে জেলা ও মহানগর থেকে দুই শতাধিক বাস ও মাইক্রোবাস নিয়ে তারা ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিয়েছেন। 

বিচ্ছিন্নভাবে ট্রেনে কিংবা অন্যান্য যানবাহনে করে অনেক নেতা-কর্মী ঢাকায় যাচ্ছেন।

এদিকে, স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে সিলেটজুড়েই বিএনপি নেতা-কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনা বিরাজ করছে। 

নেতা-কর্মী ছাড়াও সাধারণ অনেক মানুষের আগ্রহের কেন্দ্রে এখন শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জ্যেষ্ঠ পুত্র বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

বিমানবন্দর সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সকাল আনুমানিক ১০টার দিকে তারেক রহমানকে বহনকারী বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইটটি লন্ডন থেকে সিলেটে অবতরণ করবে। 

বিমানবন্দরে সিলেটের যাত্রীদের নামিয়ে দেওয়ার পর, তারেক জিয়াকে নিয়ে বিমানটি ঢাকার উদ্দেশে রওয়ানা হবে। এ সময় নিরাপত্তার স্বার্থে সিলেট বিমানবন্দরে বিমানের অভ্যন্তরে অবস্থান করবেন তারেক রহমান।

সিলেট জেলার বিএনপি দলীয় শীর্ষ নেতারা জানিয়েছেন, দলীয় নেতা-কর্মীদের সিলেট বিমানবন্দর এলাকায় অবস্থান না করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার দুপুরে বিএনপি রাজধানীর ৩০০ ফিট এলাকায় এক বিশাল সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করছে। 

সেই অনুষ্ঠানকে সফল করতে সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপি’র পক্ষ থেকে পৃথক প্রস্তুতি সভার আয়োজন করা হয়েছে। 

প্রস্তুতি সভায় তারেক রহমানের ফেরার দিনে ঢাকায় বড় বহর নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।

সিলেট মহানগর বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল হাসান কয়েস লোদী বাসসকে বলেন, তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকে ঘিরে কেবল বিএনপি নয়, সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা বিরাজ করছে। তারেক রহমান লন্ডন থেকে প্রথমে সিলেটে আসবেন, এই কারণেও সিলেটের মানুষদের মধ্যে বাড়তি উৎসাহ রয়েছে।

স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মাহবুবুল হক চৌধুরী বলেন, জাতীয়বাদী দলের শীর্ষ নেতা দেশে ফিরছেন প্রায় ১৭ বছর পর। বর্তমান প্রজন্মের লাখ লাখ মানুষ তাকে সরাসরি দেখার সুযোগ পায়নি। 

তিনি আরও বলেন, তারেক রহমানের দেশে ফেরার এই ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী হতে স্বেচ্ছাসেবক দল জেলা ও মহানগরের অন্তত ১০ হাজার নেতা-কর্মীর সিলেট থেকে ঢাকায় যাওয়ার প্রস্তুতি রয়েছে। 

অনেকে ইতোমধ্যেই ঢাকায় পৌঁছে গেছেন বলে জানান তিনি। 

সিলেট জেলা বিএনপি’র সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী বলেন, বিএনপি’র পক্ষ থেকে জেলা থেকে ঢাকাগামী একটি আলাদা ট্রেন ভাড়া নেওয়া হয়েছে। তবে বাকী সবগুলো ট্রেনে আলাদা বগি যুক্ত করা হয়েছে। 

সিলেট জেলা থেকে অন্তত ৩০ হাজার নেতা-কর্মী তারেক রহমানকে বরণ করতে ঢাকায় যাবেন বলে জানান তিনি।

বিএনপি’র চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও সিলেট-৪ আসনের দলটির প্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরী জানান, তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তনকে ঘিরে সিলেটের যে দিকে যাবেন, সব দিকেই এখন এই একই আলোচনা। সিলেট থেকে ঢাকামূখী সব পরিবহনেরই টিকিট আগে থেকেই ফুরিয়ে গেছে। 

সবাই তাদের প্রিয় নেতাকে দেখতে ঢাকায় যেতে চায় বলে জানান তিনি। 

সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (গণমাধ্যম) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, ইতোমধ্যে বিমানবন্দর এলাকায় গোয়েন্দা নজরদারী জোরদার করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও বাড়ানো হবে। তাছাড়া, ওই দিন বিমানবন্দর এলাকায় লোক সমাগম নিষিদ্ধ করা হয়েছে। 

সিলেট ওসমানী বিমানবন্দরের পরিচালক হাফিজ আহমদ বলেন, বিমানন্দর এলাকার নিরাপত্তা সব সময়ই জোরদার থাকে। আন্তর্জাতিক ফ্লাইট অবতরণের আগে, আমরা সব সময়ই সর্বোচ্চ সতর্ক থাকি। এবারও তার ব্যত্যয় হবে না। তারেক রহমানের দেশে ফেরার বিষয়টির গুরুত্ব বিবেচনায়, নিরাপত্তা বিশেষভাবে বিবেচনা করা হবে বলে জানান তিনি।