শিরোনাম

ঢাকা, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের উপদেষ্টা মাহদী আমিন বলেছেন, খুব কাছ থেকে তারেক রহমানের যে প্যাশন, কমিটমেন্ট ও ভিশন উপলব্ধি করেছি, তাঁর মাঝে নিজ বাবা-মা’র লিগেসি ও স্টেটসম্যানশিপ সুস্পষ্টভাবে দৃশ্যমান।
মাহদী আমিন তার ভেরিফাইড ফেসবুক পেইজে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের যুগান্তকারী চিন্তা-ভাবনা এবং তার সাথে কাজ করার অভিজ্ঞতা নিয়ে আজ এক পোস্ট শেয়ার করেন।
মাহদী আমিন এর পোস্টটি হুবহু তুলে ধরা হলো :
বিভিন্ন সেক্টরে বিএনপির পলিসি নিয়ে সপ্তাহব্যাপী প্রোগ্রাম হয়েছে, দশটি লিফলেটও তৈরি করা হয়েছে। অনেকেই হয়ত জানেন না, এই বিষয়গুলো নিয়ে তারেক রহমান দীর্ঘ সময় ধরে কাজ করছেন। পলিসিগুলোর মূল ভিত্তি সেই ১৯৮৮ সাল থেকে, গত সাড়ে তিন দশক ধরে তাঁর রাজনীতিতে তৃণমূলের সাথে গভীর সম্পৃক্ততা।
তারেক রহমান বারবার ছুটে গিয়েছেন প্রান্তিক বাংলাদেশে, প্রতিটি শ্রেণি-পেশার মানুষের কাছে। উপলব্ধি করার চেষ্টা করেছেন তাদের সমস্যা, ভেবেছেন কীভাবে সেটি সমাধান করা যায়, এঁকেছেন জনগণের ভাগ্য পরিবর্তনের রূপরেখা। সম্প্রতি প্রণীত পলিসিগুলোর একটি বিশাল অংশ সেই জনসম্পৃক্ত রাজনীতিরই ফল।
বিভিন্ন সেক্টরে তারেক রহমানের ভিশন নিয়ে কাজ করেছেন দেশ-বিদেশের শতাধিক পেশাজীবী, শিক্ষাবিদ ও বরেণ্য ব্যক্তিবর্গ, যাদের সবাই নিজ-নিজ অঙ্গনে অত্যন্ত সফল। প্রায় এক বছর ধরে, ঘণ্টার পর ঘণ্টা, অবিশ্বাস্য আন্তরিকতা ও আগ্রহ নিয়ে আলাদা-আলাদা করে, তিনি সময় দিয়েছেন প্রতিটি পরিকল্পনার জন্য, আলোচনা করেছেন সবার সঙ্গে। শিক্ষা, চিকিৎসা, কৃষি, কর্মসংস্থান, শিল্পায়ন, আইটি, পরিবেশ, দুর্নীতি, সুশাসন, নারী ও তরুণদের ক্ষমতায়ন, ইত্যাদি প্রতিটি বিষয়ে রয়েছে তাঁর গভীর জ্ঞান ও সংশ্লিষ্টতা।
এই দীর্ঘ সময়জুড়ে তিনি কখনোই প্রচার বা লাইমলাইটের প্রতি আগ্রহী ছিলেন না। বরং নীরবে ও আড়ালে থেকে, গভীর মনোযোগ ও সূক্ষ্ম বিশ্লেষণের মাধ্যমে, প্রতিটি পলিসির খুঁটিনাটি নিয়ে কাজ করেছেন। রাজনৈতিক কৃতিত্ব আদায় নয়, তাঁর কাছে বড় ছিল, কীভাবে এসব নীতি বাস্তবসম্মতভাবে প্রয়োগ করে বাংলাদেশকে একটি শক্তিশালী, ন্যায়ভিত্তিক ও ভবিষ্যতমুখী রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তোলা যায়। দেশের স্বার্থেই তিনি অবিরত সময় ও শ্রম দিয়েছেন এবং প্রতিটি সিদ্ধান্তে ক্ষণিকের জনপ্রিয়তার পরিবর্তে দীর্ঘমেয়াদি রাষ্ট্রচিন্তাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছেন।
হাজারো ব্যস্ততার মাঝেও তারেক রহমান সব মিলিয়ে কয়েক শত ঘণ্টা সময় দিয়েছেন তাঁর পলিসিগুলো নির্ধারণ করতে, তথা ইমপ্লিমেন্টেশন, স্ট্রাকচার, ফিজিবিলিটি ও ফাইন্যান্সিং দাঁড় করাতে। তবে এটিই শেষ নয়, সামনের দিনগুলোতে তিনি বসবেন আরও অনেক মানুষের সাথে, শুনবেন তাদের প্রত্যাশার কথা, চেষ্টা করবেন দেশ গড়ার কাজে সবাইকে সম্পৃক্ত করতে। তিনি দেশে ফিরলেই শুরু হবে সেই কর্মযজ্ঞ ও জনসম্পৃক্ততা, তথা পলিসি কনসালটেশন ও গণমুখী রাজনীতি।
আমি অত্যন্ত সৌভাগ্যবান যে, এক যুগেরও বেশি সময় ধরে তারেক রহমানের যুগান্তকারী চিন্তা-ভাবনাগুলোর বাস্তবায়ন নিয়ে কাজ করার সুযোগ পেয়েছি, যেটি ‘ওয়ান্স ইন আ লাইফটাইম অপরচুনিটি’। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার বিভিন্ন সরকারের যে অর্জনের কথা দেখেছি, পড়েছি ও শুনেছি এবং খুব কাছ থেকে তারেক রহমানের যে প্যাশন, কমিটমেন্ট ও ভিশন উপলব্ধি করেছি, তাঁর মাঝে নিজ বাবা-মা’র লিগেসি ও স্টেটসম্যানশিপ সুস্পষ্টভাবে দৃশ্যমান।
বিএনপি সরকার গঠন করলে, ভবিষ্যৎ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তিনি তাঁর বহু দশকের সুবিস্তৃত, সুনির্দিষ্ট, সুপরিকল্পিত পলিসিগুলো বাস্তবায়ন করবেন। তিনি নিশ্চিত করবেন একটি জবাবদিহিমূলক, দায়বদ্ধ ও স্বচ্ছ সরকার। সেই সরকার কথায় নয়, কাজে প্রমাণ করবে, জনগণই রাষ্ট্রের সত্যিকারের মালিক, জনগণই বিএনপির সকল রাজনৈতিক ক্ষমতার উৎস, ইনশাল্লাহ।