শিরোনাম

চট্টগ্রাম, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : হযরত শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে প্রায় ৩ লাখ ২ হাজার ৮০০ শলাকা বিদেশি সিগারেট জব্দ করেছে। যার মূল্য আনুমানিক ৩০ লাখ টাকা।
মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) সকালে চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রকৌশলী ইব্রাহিম খলিল বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সোমবার (২২ ডিসেম্বর) রাত আটটার দিকে দুবাই ও শারজাহ থেকে আসা দু’টি ফ্লাইটে করে এসব সিগারেট আনা হয়।
তিনি জানান, জব্দ করা সিগারেটগুলো ডিটেনশন মেমো (ডিএম) মূলে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের গুদামে জমা দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় কাস্টমস আইনের আওতায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।
কাস্টমস সূত্র জানায়, ‘মন্ড’ ব্র্যান্ডের এসব সিগারেট মোট ১ হাজার ৫১৪ কার্টনে দুবাই ও শারজাহ থেকে আনা হয়েছিল। কাস্টমস হাউস চট্টগ্রামের এআইআর শাখার সহযোগিতায় বিমানবন্দরের ‘এ’ শিফটের কর্মকর্তারা চালানটি আটক করেন।
দুবাই থেকে আগত বিমান ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট নম্বর বিএস-৩৪৪ রাত আটটার দিকে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। ওই ফ্লাইটের চার যাত্রীর কাছ থেকে মোট ৯৮৯ কার্টন সিগারেট জব্দ করা হয়। এর মধ্যে মিজানুর রহমানের কাছ থেকে ২৩০ কার্টন, মো. রেদোয়ানের কাছ থেকে ২৭০ কার্টন, রেজাউল করিমের কাছ থেকে ২৩৯ কার্টন এবং সালাউদ্দিনের কাছ থেকে ২৫০ কার্টন উদ্ধার করা হয়।
একই সময়ে শারজাহ থেকে আগত এয়ার এরাবিয়ার ফ্লাইট নম্বর জি৯৫২০ থেকে মালিকবিহীন অবস্থায় আরও ৫২৫ কার্টন সিগারেট জব্দ করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম কাস্টমসের এক ডেপুটি কমিশনার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, রাত আটটার দিকে ফ্লাইট অবতরণের পর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে যাত্রীদের ব্যাগেজ তল্লাশি চালানো হয়। এ সময় বিপুল পরিমাণ বিদেশি সিগারেট জব্দ করা হয়েছে। কাস্টমস আইনের আওতায় প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
কাস্টমস জানিয়েছে, আমদানি নীতি আদেশ ২০২২-২৫ অনুযায়ী সিগারেট একটি নিয়ন্ত্রিত পণ্য। এসব পণ্যের প্যাকেটে সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ- ‘ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর’ লেখা ও ক্ষতির ছবি থাকা বাধ্যতামূলক। আটককৃত সিগারেটের প্যাকেটে এসব শর্ত পূরণ করা হয়নি। পাশাপাশি এটি উচ্চ শুল্ক-করযুক্ত পণ্য হওয়ায় শুল্ক ফাঁকি দিয়ে চোরাচালানের চেষ্টা করা হয়েছিল।