শিরোনাম

ঢাকা, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : মানবজমিন পত্রিকার প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী বলেছেন, ‘আগামী দিনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হলে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। আমরা ঐক্যবদ্ধ না হলে রাষ্ট্র বিপন্ন হয়ে যাবে। রাষ্ট্রের যদি অস্তিত্ব বিপন্ন হয়ে যায়, তাহলে আমরা কেউই থাকব না’।
তিনি বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের আগমনকে শুভেচ্ছা জানাই, আমি মনে করি তিনি এলে বাংলাদেশের চেহারা হয়তোবা পাল্টে যাবে।
আজ রোববার দুপুরে রাজধানীর হোটেল রেডিসন ব্লুতে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে দৈনিক পত্রিকা ও অনলাইন নিউজ পোর্টালের সম্পাদক, রেডিও, টেলিভিশনের বার্তা প্রধান এবং গণমাধ্যম ব্যক্তিত্বদের সঙ্গে এ মতবিনিময় সভা করে বিএনপি।
মতিউর রহমান বলেন, আমরা একটা অস্থির ও কঠিন সময় পার করছি। দেশটা দু’ভাগে বিভক্ত। বিভাজনের মধ্যে কথা বলাও খুব কঠিন। তবে আজকের এই অনুষ্ঠানে এসে আমার খুবই ভালো লেগেছে এই কারণে- বিএনপির যে তিনজন নেতা বক্তৃতা করেছেন, আগামী দিনে দলটি ক্ষমতায় এলে মিডিয়া পলিসি কী হবে? সালাহউদ্দিন আহমেদ ও রিজভী আহমেদ দুজনের বক্তব্য থেকে তা স্পষ্ট হয়েছে।
তিনি বলেন, আমি খুবই আশাবাদী হতে চাই- আগামী দিনে যদি এর সিকিভাগ বাস্তবায়িত হয়। কারণ হলো এই অস্থির সময়ে আমরা সবাই কিন্তু অস্থির। মিডিয়াও অস্থির, সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে কথা বলাও এখন ডিফিকাল্ট। সে কারণে বলছি, যদি মিডিয়া পলিসি যেটা বলা হয়েছে, তারা সেটা বাস্তবায়ন করেন তাহলেই বোধহয় বাংলাদেশের মিডিয়া সামনের দিকে এগিয়ে যাবে। কারণ অনেক চ্যালেঞ্জ সামনে।
বাংলাদেশের সবচাইতে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে নিরাপত্তা এ কথা উল্লেখ করে মতিউর রহমান বলেন, তারেক রহমান এমন এক সময়ে আসছেন, যখন বাংলাদেশের সবচাইতে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে নিরাপত্তা। মানুষ নিজেকে নিরাপদ ভাবতে চায়, কিন্তু মানুষ এখন তা ভাবতে পারছে না। চারদিকের পরিস্থিতি যেভাবে যাচ্ছে আমরা যখন কথা বলছি, তখন ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ। দিল্লিতে আমাদের হাই কমিশনারের বাসভবনে হামলা হয়েছে। আক্রান্ত হয়েছেন প্রহরীরা।
মতিউর রহমান চৌধুরী আরও বলেন, ডেইলি স্টার ও প্রথম আলোর উপর হামলা হলো। এরপরে কী হবে কেউ জানে না। সে কারণে এই অবস্থায় বিএনপির কাছে মানুষের প্রত্যাশা সবচাইতে বেশি। বিএনপি মানুষের পাশে থাকবে। তারেক রহমান আসবেন। তিনি সেই প্রতিশ্রুতি দেবেন। সেটা আমি জানি। কিন্তু প্রশ্নটা হচ্ছে- আমরা সবাই নিরাপদ থাকতে চাই, লিখতে চাই। আমাদের কথা বলতে দিন। আপনারা যদি এটা নিশ্চিত করেন, সাধুবাদ জানাবো। আর নাহলে আবারও হয়তোবা আমরা আপনাদের সমালোচনা করব। কিন্তু এই সমালোচনা যেন হঠকারীতায় পরিণত না হয়, সেই দিকটাও দেখতে হবে আমাদের।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক মাহবুব মোর্শেদ, ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনাম, নয়া দিগন্তের সম্পাদক সালাহউদ্দিন মুহাম্মদ বাবর, দৈনিক খবরের কাগজ সম্পাদক মোস্তফা কামাল, কালের কণ্ঠ সম্পাদক হাসান হাফিজ, যুগান্তর সম্পাদক আব্দুল হাই শিকদার, নির্বাহী সম্পাদক এনাম আবেদীন, আজকের পত্রিকা সম্পাদক কামরুল হাসান, আমার দেশ নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমদ, ইনকিলাব সম্পাদক এ এম এম বাহাউদ্দীন, বণিক বার্তার সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদ সহ দেশের জাতীয় দৈনিক, অনলাইন নিউজ পোর্টাল, টেলিভিশন ও রেডিওতে কর্মরত সাংবাদিকরা।
মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান, মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদ, বিএনপি মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক মওদুদ আহমেদ পাভেল।