শিরোনাম

ঢাকা, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশে ইন্টারনেট ব্যবহারের হার ধারাবাহিকভাবে বেড়েছে। গত ২০২৩ সালে ব্যক্তিগত পর্যায়ে ইন্টারনেট ব্যবহারের হার যেখানে ছিল ৪৪.৫ শতাংশ, চলতি বছর তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৮.৯ শতাংশে।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) পরিচালিত ‘আইসিটি অ্যাক্সেস অ্যান্ড ইউজ সার্ভে ২০২৫-২৬’ (প্রথম প্রান্তিক, জুলাই-সেপ্টেম্বর) শীর্ষক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, পারিবারিক পর্যায়ে প্রযুক্তির ব্যবহারের পরিধি আরও বিস্তৃত হয়েছে।
জরিপে দেখা যায়, দেশের ৯৮.৯ শতাংশ পরিবারে অন্তত একটি মোবাইল ফোন রয়েছে এবং ৭২.৪ শতাংশ পরিবারের স্মার্টফোন রয়েছে।
অন্যান্য প্রযুক্তি পণ্যের মধ্যে ৫৮.৯ শতাংশ পরিবারে টেলিভিশন রয়েছে। তবে রেডিও ব্যবহারের হার কমে ১৫.১ শতাংশে নেমে এসেছে এবং মাত্র ৯.১ শতাংশ পরিবারে কম্পিউটার রয়েছে। বিদ্যুৎ সুবিধা প্রায় সবার কাছে পৌঁছে গেছে, যা দেশের ৯৮.৯ শতাংশ পরিবারের কাছে পৌঁছেছে।
স্মার্টফোন মালিকানার ক্ষেত্রে শহর ও গ্রামের মধ্যে একটি ব্যবধান লক্ষ্য করা গেছে। শহর এলাকায় ৮০.৮ শতাংশ পরিবারের কাছে অন্তত একটি স্মার্টফোন রয়েছে, যেখানে গ্রামাঞ্চলে এই হার ৬৮.৮ শতাংশ।
জাতীয় আইসিটি নীতিমালা প্রণয়নসহ আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়ন (আইটিইউ) এবং এসডিজি ট্র্যাকারের মতো আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মগুলোকে তথ্য প্রদানের লক্ষ্যে বিবিএস দেশজুড়ে প্রায় ৬১ হাজার ৬৩২টি পরিবারের ওপর এই জরিপ পরিচালনা করে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, অনলাইন সেবা ক্রমশ শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, অর্থনীতি এবং সরকারি সহায়তা পাওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
চলতি বছরের সেপ্টেম্বরের শেষ নাগাদ পাঁচ বছর ও তার বেশি বয়সি জনগোষ্ঠীর মধ্যে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর হার ছিল ৪৮.৯ শতাংশ। পরিবার পর্যায়ে দেখা গেছে, জুলাই-সেপ্টেম্বর সময়ে প্রায় ৫৬.২ শতাংশ পরিবারে অন্তত একজন ইন্টারনেট ব্যবহারকারী ছিল।
ব্যক্তি পর্যায়ে জরিপে দেখা গেছে, ৮০.৬ শতাংশ মানুষ মোবাইল ফোন ব্যবহার করেন, তবে ৫৬.৫ শতাংশ মানুষের নিজস্ব হ্যান্ডসেট রয়েছে।
মোবাইল ফোন ব্যবহারের ক্ষেত্রে নারী ও পুরুষের হার প্রায় সমান (পুরুষ ৮০.৯ শতাংশ এবং নারী ৭৮.৮ শতাংশ)। তবে নিজস্ব হ্যান্ডসেট মালিকানা এবং ইন্টারনেট ব্যবহারের ক্ষেত্রে লিঙ্গ বৈষম্য লক্ষ্য করা গেছে।
প্রায় ৬৩.২ শতাংশ পুরুষের নিজস্ব মোবাইল ফোন রয়েছে, যেখানে নারীদের ক্ষেত্রে এই হার ৫২.৮ শতাংশ। ইন্টারনেটের ক্ষেত্রেও একই চিত্র দেখা গেছে-৫১.২ শতাংশ পুরুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করেন, সেখানে নারীদের হার ৪৬.৩ শতাংশ।