শিরোনাম

ঢাকা, ৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : রাজধানীর গুলশানের টিএন্ডটি মাঠে কড়াইল অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ আনসার-ভিডিপি’র মানবিক সহায়তা কেন্দ্র আজ নয় দিনের সফল সেবা কার্যক্রম সমাপ্ত করেছে।
এই সময়ে জরুরি খাদ্য, শীতবস্ত্র ও দৈনন্দিন রান্না করা খাবারের ধারাবাহিক বিতরণ শেষে, আজ সেবা কেন্দ্রের শেষ দিনে এই অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ১ হাজার ২০০ জন শিশুর মাঝে প্যাকেট গুঁড়া দুধ বিতরণ করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন— বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপি’র অতিরিক্ত মহা-পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ফিদা মাহমুদ।
জরুরি শিশু খাদ্য বিতরণ কার্যক্রমে অতিরিক্ত মহা-পরিচালক বলেন, ‘অগ্নিকাণ্ডের মতো বিপর্যয়ের পর, মানুষের মানসিক ও বাস্তবিক ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে তাদের কাছে মানবিক সহায়তা পৌঁছে দেওয়া ছিল আমাদের মূল লক্ষ্য।’
তিনি আরও বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের কষ্ট লাঘবের প্রয়াসে আমরা আন্তরিক ছিলাম এবং ভবিষ্যতেও যে কোনো ধরনের মানবিক দুর্যোগে, আমরা অসহায় মানুষের পাশে থাকার অঙ্গীকার করছি।
গত ২৫ নভেম্বর কড়াইল বস্তির ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ১ হাজারের বেশি মানুষ ঘরবাড়ি হারিয়ে চরম দুরবস্থায় পড়ে। বাসস্থানহীনতার পাশাপাশি শিশু খাদ্য, শীতবস্ত্র ও খাবারের তীব্র সংকট দেখা দিলে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী ‘মানুষ মানুষের জন্য’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ২৮ নভেম্বর বাহিনীর মহা-পরিচালক মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ-এর নির্দেশনায় এই মানবিক সহায়তা কেন্দ্র চালু করে।
শীতের তীব্রতা বেড়ে গেলে এ মানবিক সহায়তা কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে ৫০০টি কম্বল ও ৪০০ জনকে অতিরিক্ত শীতবস্ত্র প্রদান করা হয়।
এর পাশাপাশি, এই সহায়তা কেন্দ্র থেকে নয় দিন ধরে প্রতিদিন দুপুর ও রাতে ২ হাজার ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জন্য রান্না করা খাবারের ব্যবস্থা করা হয়, যাতে তারা অন্তত প্রাথমিক খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারে।
কড়াইলের সংকটাপন্ন জনপদে বাংলাদেশ আনসার-ভিডিপি’র এই সুসমন্বিত, নিবেদিত ও মানবিক সহায়তা, ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের জন্য এক শক্তিশালী ভরসা হয়ে ওঠে— যা তাদের পুনরায় ঘুরে দাঁড়াতে মনোবল, সাহস ও প্রয়োজনীয় সমর্থন প্রদান করেছে।
এছাড়াও এই বাহিনীর পক্ষ থেকে বস্তিবাসীর ক্ষতিগ্রস্ত সুপেয় পানি সরবরাহ ব্যবস্থার বিকল্প পানি সাপ্লাই পয়েন্ট স্থাপনের কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে।
এই পানি সাপ্লাই পয়েন্ট স্থাপনের কাজ সম্পন্ন হলে, সাধারণ বস্তিবাসীদের চিরস্থায়ী পানি সংরক্ষণ ও সরবরাহ নিশ্চিত করবে।
সমাপনী বক্তব্যে অতিরিক্ত মহা-পরিচালক ঢাকা মহানগর আনসারের পরিচালক মো. আসাদুজ্জামান গনী, ঢাকা জোনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা, ঢাকা মহানগর অঙ্গীভূত আনসার, নগর প্রতিরক্ষা দল (টিডিপি) ও আনসার ব্যাটালিয়ন সদস্যদের এ ধরনের সেবামুলক কার্যক্রমে নিবেদিত দায়িত্ব পালনের জন্য, তাদের সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।