শিরোনাম

ঢাকা, ১ ডিসেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : ঢাকার কেরানীগঞ্জে যৌতুকের দাবিতে স্ত্রী রিয়া আক্তারকে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় স্বামী রুবেলের মৃত্যুদণ্ড ও এক লাখ টাকা অর্থদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন ঢাকার একটি ট্রাইব্যুনাল।
আজ সোমবার ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৪ এর বিচারক মুন্সী মো. মশিয়ার রহমান এ রায় দেন। রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। আদালত সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।
ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি এরশাদ আলম জর্জ বাসসকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১৯ সালে মোতালেবের মেয়ে ভিকটিম মোসা. রিয়া আক্তারের (২১) সঙ্গে মো. রুবেলের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে রুবেল ৫০ হাজার টাকা যৌতুকের দাবিতে মোসা. রিয়াকে নির্যাতন করে আসছিল। ২০২১ সালের ১৮ নভেম্বর সকালে রুবেল রিয়া আক্তারসহ তাদের শিশু কন্যাকে নিয়ে তার শ্বশুর মোতালেবের বাড়িতে বেড়াতে যান। দুপরে খাওয়ার পর বিকেলে রুবেল রিয়াকে নিয়ে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার পাঁচগাও বটতলায় (ভাড়া বাসায়) চলে যান। ওই দিন বিকেল ৪টা থেকে রাত ৯টার মধ্যে রুবেল ৫০ হাজার টাকা যৌতুকের দাবিতে রিয়ার গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন।
রুবেল রিয়া আক্তারের লাশ ঘরের মেঝেতে রেখে ঘর তালাবদ্ধ করে দেন। এরপর তিনি তার কন্যা সন্তানকে তার খালা হাজেরার কাছে দিয়ে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন এবং হত্যার দায় স্বীকার করেন। এ ঘটনায় ভিকটিম মোসা. রিয়া আক্তারের বাবা মোতালেব বাদী হয়ে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্ত শেষে ২০২২ সালের ৩১ মার্চ রুবেলকে আসামি করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। মামলার বিচার চলাকালে ১২ জন সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য প্রদান করেন।