শিরোনাম

ঢাকা, ১২ নভেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ এলাকা থেকে মাদরাসা ছাত্র তাওহীদ ইসলামকে অপহরণের পর হত্যার অভিযোগে করা মামলায় মো. মকবুল হোসেন নামে এক যুবককে মৃত্যুদণ্ড ও ৫ লাখ টাকা অর্থদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন ঢাকার একটি ট্রাইব্যুনাল। এছাড়া অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায়ের ধারায় তাকে আমৃত্যু কারাদণ্ড এবং ২ লাখ টাকা অর্থদণ্ডের আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল।
আজ ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৪ এর বিচারক মুন্সী মো. মশিয়ার রহমান এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিল। আদালত সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এরশাদ আলম জর্জ বাসস’কে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের আব্দুল্লাহপুর এলাকার রসুলপুর জামিআ ইসলামিয়া মাদরাসা ও এতিমখানায় নাজেরা বিভাগে পড়াশোনা করতো ১০ বছর বয়সী তাওহীদ ইসলাম। গত বছরের ১০ ফেব্রুয়ারি বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে সে মাদরাসায় যায়। রাত সাড়ে ৮টায় ক্লাস শেষে মামা মহসিনের দোকানে যায়। তবে মামাকে না পেয়ে একাই বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেয় তাওহীদ। পথে মকবুল হোসেন তাকে অপহরণ করে পরিবারের কাছে ৩ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। পরের দিন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আসামির পছন্দ মতো জায়গায় মুক্তিপণ রেখে আসে ভুক্তভোগীর মামা। টাকা পেয়েও আসামি শিশুটিকে ফেরত দেয়নি। পরে র্যাব অভিযান চালিয়ে মকবুলকে গ্রেফতার করে। সেপটিক ট্যাংক থেকে তাওহীদের লাশ উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় একই বছরের ১১ ফেব্রুয়ারি নিহতের মা মোসা. তাসলিমা আক্তার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় মামলা করেন।
মামলাটির তদন্ত শেষে গত বছরের ৩১ জুলাই মকবুলের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার এসআই এ কে এম সাইদুজ্জামান। মামলার বিচার চলাকালে ১৮ জন সাক্ষী ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য প্রদান করেন।