শিরোনাম

ঢাকা (উত্তর), ২৪ অক্টোবর, ২০২৫ (বাসস): বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, আমরা যদি দেশ পরিচালনার সুযোগ পাই, তাহলে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক হবে পারস্পরিক সম্মানের ভিত্তিতে।
তিনি বলেন, ‘মানুষ নিজের জায়গা বদলাতে পারে, কিন্তু প্রতিবেশী বদলাতে পারে না। আমরা আমাদের প্রতিবেশীকে সম্মান করতে চাই এবং একইভাবে প্রতিবেশীর কাছ থেকেও সম্মান প্রত্যাশা করি।’
বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় জামায়াত আমির সপ্তাহব্যাপী যুক্তরাষ্ট্র সফরের প্রথম দিনে নিউইয়র্কে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় অংশ নেন। সেখানে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
আজ ঢাকায় প্রাপ্ত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো এ কথা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের চেয়ে ভারত আয়তনে ২৬ গুণ বড়। তাদের সম্পদ ও জনশক্তি আমাদের তুলনায় অনেক বেশি। আমরা তাদের অবস্থান বিবেচনায় সম্মান করি।
তবে আমাদের ছোট ভূখণ্ড ও প্রায় ১৮ কোটি মানুষের অস্তিত্বকেও তাদের সম্মান করতে হবে- ‘দিস ইজ আওয়ার ডিমান্ড।’ যদি তা হয়, তাহলে দুই প্রতিবেশী শুধু ভালোই থাকব না, বরং এক প্রতিবেশীর কারণে অন্য প্রতিবেশিও বিশ্ব দরবারে সম্মানিত হবে।'
ভিন্ন ধর্মের মানুষের অধিকার নিশ্চিত করার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে জামায়াত আমির বলেন, 'গত প্রায় দেড় বছরে আমাদের কার্যক্রমের মধ্য দিয়েই আমরা এর জবাব দিয়েছি। একটা বিষয় পরিষ্কারভাবে বলতে চাই, গত ৫৪ বছরে বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন ধর্মের মানুষের অভিবাসন ঘটেছে, মুসলমানদেরও। আমরা জোর করে কোনো কিছু বন্ধ করার পক্ষেও নই, আবার জোর করে কাউকে দেশ থেকে তাড়ানোর পক্ষেও নই।'
তিনি আরো বলেন, ১আমরা ‘মেজরিটি’ ও ‘মাইনোরিটি’ ধারণায় বিশ্বাস করি না। আমরা বলি, ‘উই নিড ইউনিটি’। মেজরিটি-মাইনোরিটি বলা মানেই বিভাজন তৈরি করা, যা একদলকে অন্য দলের মুখোমুখি দাঁড় করায়। গত ৫৪ বছর ধরে আমরা এর ভয়াবহতা দেখেছি। আমরা আর তা দেখতে চাই না।’
জামায়াত আমির বলেন, ‘আমাদের কৃষ্টি, সংস্কৃতি ও সভ্যতার ভিত্তিতে যুগের পর যুগ মিলেমিশে বসবাসের যে ঐতিহ্য আমরা গড়ে তুলেছি, সেটিকেই পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে চাই। যে কয়েকটি কালো দাগ পড়েছে, সেগুলো উপড়ে ফেলব ইনশাআল্লাহ। যাতে দল ও ধর্মের বিভাজনে জাতি আর বিভক্ত না হয়।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমরা অনুভব করি, কেউ যদি গত ৫৪ বছরে অন্য কারো সম্পত্তি অবৈধভাবে দখল করে থাকে এবং তার প্রমাণ থাকে, তবে আমরা সেই সম্পত্তি ফেরত দেওয়ার পক্ষে, এটিই আমাদের অবস্থান।’
সভায় নিউইয়র্কে অবস্থানরত বাংলাদেশি সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।