বাসস
  ১০ অক্টোবর ২০২৫, ১৯:২৬

বিশ্বজুড়ে বাড়ছে পরমাণু বিদ্যুতের ব্যবহার 

ছবি : সংগৃহীত

ঢাকা, ১০ অক্টোবর, ২০২৫ (বাসস) : জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব মোকাবিলা এবং ক্রমবর্ধমান জ্বালানি চাহিদা মেটানোর জন্য বিশ্বজুড়ে পরমাণু শক্তিকে একটি নিরাপদ, পরিচ্ছন্ন ও টেকসই বিকল্প হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। 

অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় অবস্থিত আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার ওয়বেসাইট থেকে এই খবর জানা গেছে।

সংস্থাটি বলেছে, ওয়ার্ল্ড নিউক্লিয়ার অ্যাসোসিয়েশন (ডব্লিউএনএ)-এর একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, সারা বিশ্বে পরমাণু বিদ্যুতের ব্যবহার ক্রমশ বাড়ছে। ২০২৪ সালে বিশ্বব্যাপী প্রায় ৪৪০টি পরমাণু চুল্লি থেকে মোট ২,৬৬৭ টেরাওয়াট-ঘণ্টা বিদ্যুৎ উৎপাদিত হয়েছে, যা বিশ্বব্যাপী মোট বিদ্যুতের চাহিদার প্রায় ৯ শতাংশ পূরণ করেছে।
ওয়ার্ল্ড নিউক্লিয়ার অ্যাসোসিয়েশনের মহাপরিচালক সামা বিলবাও ই লিওন বলেছেন, ২০২৪ সালে পরমাণু শক্তি থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের একটি নতুন রেকর্ড হয়েছে, যা এই শিল্পের অগ্রগতির প্রমাণ।

তিনি আরো বলেছেন, বৈশ্বিক জ্বালানি ও জলবায়ু সুরক্ষার জন্য এই রেকর্ডকে প্রতি বছর আরো বড় পরিসরে বাড়ানো প্রয়োজন। ওয়ার্ল্ড নিউক্লিয়ার অ্যাসোসিয়েশনের ‘ওয়ার্ল্ড নিউক্লিয়ার পারফরম্যান্স রিপোর্ট-২০২৫’ অনুসারে, ২০২৪ সালে পরমাণু শক্তি থেকে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছে।

এশিয়ার বিভিন্ন দেশে ছোট-বড় পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত এক দশকে বিশ্বব্যাপী চালু হওয়া মোট ৬৮টি চুল্লির মধ্যে ৫৬টিই এশিয়ার দেশগুলোতে নির্মিত হয়েছে। বর্তমানে নির্মাণাধীন ৭০টি চুল্লির মধ্যে ৫৯টিই এশিয়ায় অবস্থিত। এই পরিসংখ্যান থেকে ধারণা করা যায় যে, ভবিষ্যতে বিদ্যুৎ উৎপাদনের গতি আরো বাড়বে। বাংলাদেশ ও এই কাতারে শামিল হচ্ছে খুব শিগগির।

ওয়ার্ল্ড নিউক্লিয়ার অ্যাসোসিয়েশনের তথ্যমতে, বিশ্বব্যাপী বিদ্যুৎ উৎপাদনের সবচেয়ে বড় উৎস হলো কয়লা ও গ্যাস। পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে কোনো গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গত হয় না। তাই এটি একটি পরিচ্ছন্ন জ্বালানির উৎস হিসেবে বিবেচিত হয়।

পরিবেশবাদী সংগঠন ‘ফ্রেন্ডস অব দ্য আর্থ’-এর মতে, পরমাণু শক্তি জলবায়ু সংকটের একটি ধীর এবং ব্যয়বহুল সমাধান। তেজস্ক্রিয় বর্জ্য মানুষ ও বন্য প্রাণীর জন্য বিপজ্জনক হলেও সাম্প্রতিক সময়ে জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরতা কমানো এবং কার্বন নির্গমন সীমিত করার লক্ষ্যে অনেক দেশ পরমাণু শক্তির দিকে ঝুঁকছে।