শিরোনাম
ঢাকা, ১ অক্টোবর, ২০২৫ (বাসস): উস্কানিমূলক স্লোগান দেওয়ার অভিযোগে সন্ত্রাস বিরোধী আইনে দায়ের করা মামলায় নড়াইল-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের নড়াইল জেলার সহ-সভাপতি বিএম কবিরুল হক মুক্তি ও কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য মো. মোজাম্মেল হককে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন ঢাকার একটি আদালত।
আজ ছয় দিনের রিমান্ড শেষে তাদের ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ।
এরপর মামলার তদন্ত শেষ না হওয়ায় পর্যন্ত তাদের কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। অপর দিকে তাদের আইনজীবী জামিন চেয়ে আবেদন করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সেফাতুল্লাহ তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এরআগে ২৪ সেপ্টেম্বর রাত ৯টার দিকে রাজধানীর নিকেতন এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করে গুলশান থানা পুলিশ। পরের দিন ২৫ সেপ্টেম্বর তাদের ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হলে মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য দশ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। অপর দিকে তাদের আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সেফাতুল্লাহ তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে ছয় দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
মামলার সূত্রে জানা যায়, গত ১২ সেপ্টেম্বর বেলা দেড়টার দিকে গুলশান থানাধীন ডা. ফজলে রাব্বী পার্কের দক্ষিণ সেতুর ওপর নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগ ও কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা মিছিল বের করে। মিছিলে তারা রাষ্ট্রকে অস্থিতিশীল করার উদ্দেশ্যে উস্কানিমূলক স্লোগান দেয়। এসময় রাস্তায় চলাচলরত গাড়ি ভাঙচুর করার চেষ্টা চালিয়ে জনমনে ভীতি সৃষ্টি করে বিক্ষোভকারীরা। পরদিন ১৩ সেপ্টেম্বর গুলশান থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক মো. মাহাবুব হোসাইন সন্ত্রাস বিরোধী আইনে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় মুক্তি ও মোজাম্মেল এজাহারভুক্ত আসামি।