শিরোনাম
চট্টগ্রাম, ১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ (বাসস): বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, আজকে দেশের মানুষের হৃদয়ে ধানের শীষের জোয়ার শুরু হয়েছে। এই জোয়ারকে কেউ বাধাগ্রস্ত করতে চাইলে তারা ভেসে যাবে। আমরা চাই সুষ্ঠু নির্বাচন। দেশের মানুষ যাকে ইচ্ছা নির্বাচিত করতে পারবে।
তিনি আরো বলেন, ‘এখন কেউ যদি মনে করে, তারা নির্বাচিত হতে পারবে না, সেজন্য নির্বাচনের প্রয়োজন নেই, সেটা তাদের সমস্যা; এটা বাংলাদেশের মানুষের সমস্যা নয়। সুতরাং বার্তা পরিষ্কার, ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে সমস্ত জনগণ নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। দক্ষিণ এশিয়াতে সবচেয়ে বৃহৎ রাজনৈতিক দল বিএনপিও এগিয়ে যাচ্ছে। নির্বাচনকে বাধা দেওয়া মানে গণতন্ত্রকে বাধাগ্রস্ত করা, বাংলাদেশের মানুষের মালিকানা বন্ধ করা এবং আগামীতে মানুষের রাজনৈতিক ও সংবিধানিক অধিকারে প্রতিবন্ধক সৃষ্টি করা।’
আজ সোমবার বিকেলে চট্টগ্রাম নগরীর আলমাস হলের সামনে বিএনপি’র ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে র্যালির আগে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সমাবেশ শেষে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর নেতৃত্বে র্যালি আলমাস সিনেমার সামনে থেকে শুরু হয়ে কাজীর দেউড়ি, জুবলী রোড, এনায়েত বাজার হয়ে নিউ মার্কেট মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। র্যালিটির আয়োজন করে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি ও অঙ্গসংগঠন।
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘জিয়াউর রহমানের হাত ধরে প্রতিষ্ঠিত বিএনপি জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে জাতীয়তাবাদী চিন্তাভাবনা ও উদ্যোগে নতুন বাংলাদেশ গঠনের যে প্রত্যয় দিয়েছিল, তা পরবর্তীতে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে সফলভাবে বাস্তবায়িত হয়েছে। এখন তারেক রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ আবার নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখছে, স্বৈরাচারমুক্ত বাংলাদেশে আমাদের নেতা তারেক রহমান। ইতোমধ্যেই সমস্ত বাংলাদেশের মানুষ তারেক রহমানের প্রতিটি স্বপ্নের সঙ্গে নিজেদেরকে দেখতে পাচ্ছেন।’
তিনি আরো বলেন, ‘স্বপ্নগুলো কী? এক নম্বর স্বপ্ন হচ্ছে, বাংলাদেশের মানুষের কর্মসংস্থান। তারেক রহমান বলেছেন, যদি দেশের মানুষ আমাদেরকে দায়িত্ব দেয়, প্রথম ১৮ মাসে ১ কোটি মানুষের চাকরির ব্যবস্থা করা হবে। চাকরি করবে, ব্যবসা করবে, দেশে কর্মসংস্থান ও বাইরে কর্মসংস্থান— সবকিছু পরিকল্পনা ইতোমধ্যেই সমাপ্ত হয়েছে।’
সাবেক মন্ত্রী আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষের প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য সব ধরনের কার্যক্রম শেষ হয়েছে। আগামীতে বিএনপি যদি দায়িত্ব পায়, সাধারণ মানুষের প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য পকেট থেকে কোনো পয়সা খরচ করতে হবে না। বাংলাদেশের মানুষের শিক্ষা এবং দক্ষতা বাড়ানোর জন্য বিশাল বিনিয়োগের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘আজকে সমাবেশে উপস্থিত হয়ে বাংলাদেশে সবচেয়ে বৃহত্তম রাজনৈতিক দল বিএনপি হিসেবে আপনারা আবারও প্রমাণ করেছেন। এটার কারণ শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের দেশপ্রেম, উন্নয়নের উদ্যোগ, চাষি, শ্রমিক, ব্যবসায়ী ও পেশাজীবী সবাইকে নিয়ে বাংলাদেশ। এর আগে বাংলাদেশ ছিল একটি গোষ্ঠীর হাতে সীমাবদ্ধ।’
আমীর খসরু বলেন, ‘শুধু রাজনীতিকে গণতন্ত্রায়ন নয়, অর্থনীতিকেও গণতন্ত্রায়ন করতে হবে। অর্থনীতিকে গণতন্ত্রায়ন করে বাংলাদেশের প্রত্যেক মানুষ যাতে আগামীর বাংলাদেশে অর্থনীতিতে উন্নয়নের সহযোগিতা করতে পারে, অংশগ্রহণ করতে পারে, নিজেদের জীবনযাপনের মান উন্নয়ন করতে পারে— এটাই হবে আগামীর বাংলাদেশ। তারেক রহমানের নেতৃত্বে আরো অনেক প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে।’
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি’র আহ্বায়ক এরশাদ উল্লাহর সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব নাজিমুর রহমানের পরিচালনায় সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম। বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন, মহানগর বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর প্রমুখ।