শিরোনাম
ঢাকা, ২৮ আগস্ট, ২০২৫ (বাসস) : জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ডা. শেখ গোলাম মোস্তফার বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
ক্ষমতার অপব্যবহারপূর্বক অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং অসাধু প্রক্রিয়ায় রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ পদ লাভের উদ্দেশ্যে ঘুষ প্রদানের অভিযোগের প্রেক্ষিতে এই অভিযান পরিচালনা করে দুদক।
আজ দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে এ সংক্রন্ত একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালিত হয়।
অভিযানের অংশ হিসেবে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তর থেকে অভিযোগ সংক্রান্ত রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করা হয়, যা বিশ্লেষণ করে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। অভিযোগের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অতিরিক্ত রেকর্ডপত্র সংগ্রহের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। প্রয়োজনীয় সব তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ ও যথাযথ যাচাই শেষে কমিশনের কাছে পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণের সিদ্ধান্ত চেয়ে বিস্তারিত প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।
এদিকে পিরোজপুর জেলার নাজিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সেবা প্রদানে অনিয়ম ও হয়রানির অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের পিরোজপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয় থেকে অপর একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালিত হয়।
অভিযানে দেখা যায়, বহির্বিভাগে সেবা গ্রহণকারী ২৫২ জন রোগীর বিপরীতে মাত্র ১৩টি টেস্ট সম্পাদিত হয়েছে, অথচ ডাক্তারদের বক্তব্যে ৪০ থেকে ৫০টি টেস্ট প্রেসক্রাইব করা হয়েছে বলে জানা যায়।
টিমের কাছে প্রতীয়মান হয় যে বাকি টেস্টগুলো দালালদের যোগসাজশে পাশের ডায়াগনস্টিক সেন্টারে সম্পন্ন হয়েছে। এছাড়া হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডের রেজিস্টারে চলতি বছরের ৩ মার্চের পর তথ্য আপডেট করা হয়নি বলে উদঘাটিত হয়, যা অসংগতির ইঙ্গিত দেয়। ওই স্বাস্থ্য কেন্দ্রে বিরাজমান নানারকম অব্যবস্থাপনা দূরীকরণ এবং সেবাগ্রহিতাদের ভোগান্তি লাঘবের জন্য সংশ্লিষ্টদের পরামর্শ প্রদান করে দুদক টিম।
এ ছাড়া সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তর, চট্টগ্রাম কার্যালয়ে কাজ না করেই বিভিন্ন প্রকল্পের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম-১ থেকে একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়। এনফোর্সমেন্ট টিম নগরীর অক্সিজেন মোড় থেকে হাটহাজারী রোডের ১২ কিলোমিটার রাস্তা মেরামত প্রকল্পের নথিপত্র যাচাই ও সংশ্লিষ্টদের বক্তব্য গ্রহণ করে। অভিযানকালে দেখা যায়, টেন্ডার আইডি নং-১১২০৬৭৭ ও ১১২০৬৭৮ এর আওতায় টেন্ডার আহ্বানের আগেই উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী ও উপ-সহকারী প্রকৌশলীর তত্ত্বাবধানে স্থানীয় ঠিকাদারের মাধ্যমে কাজ সম্পন্ন করা হয়- যা বিধিবহির্ভূত। সার্বিক বিবেচনায় অভিযানে প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয় যে টেন্ডার প্রক্রিয়া ছাড়াই কাজ দেখিয়ে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করা হয়েছে।