বাসস
  ২৫ আগস্ট ২০২৫, ২১:১৫

ডিবি পুলিশের পরিচয়ে চাঁদাবাজি : চার জনের ১০ বছর কারাদণ্ড

ঢাকা, ২৫ আগস্ট, ২০২৫ (বাসস) : ডিবি পুলিশ পরিচয়ে চাঁদাবাজি করার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় রাজধানীর সুত্রাপুর থানার সাবেক এসআই রহমত উল্লাহ, সাবেক এএসআই রফিকুল ইসলাম, জনৈক ফরহাদ হোসেন ও  হাসিব হাসান শোভনের দশ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন ঢাকার একটি বিশেষ জজ আদালত।

আজ ঢাকার বিশেষ জজ-৬ এর বিচারক মো. জাকারিয়া হোসেন এ রায় ঘোষণা করেন।

বিচারক রায়ে উল্লেখ করেন, মামলার পলাতক আসামি ফরহাদ হোসেন ও হাসিব হাসান শোভনের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাদেরকে দোষী সাব্যস্ত করে প্রত্যেককে পেনাল কোডের ৪৪৮ ধারায় এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড, পেনাল কোডের ৩৪২ ধারায় এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং পেনাল কোডের ৩৮৫ ধারায় দশ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত। কারাদণ্ডের পাশাপাশি তাদের দশ হাজার টাকা অর্থদণ্ডের আদেশ দেন আদালত। অনাদায়ে তাদের আরো এক  বছরের বিনাশ্রম কারাভোগ করতে হবে।

অপর পলাতক আসামি রহমাত উল্লাহ ও রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের পেনাল কোডের ১৭০/৪৪৮/৩৪২/৩৮৫ ধারায় আনীত অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাদেরকে দোষী সাব্যস্ত করে তাদের প্রত্যেককে পেনাল কোডের ১৭০ ধারায় দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড, পেনাল কোডের ৪৪৮ ধারায় এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড, পেনাল কোডের ৩৪২ ধারায় এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং পেনাল কোডের ৩৮৫ ধারায় দশ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত। কারাদণ্ডের পাশাপাশি তাদের দশ হাজার টাকা অর্থদণ্ডের আদেশ দেন আদালত। অনাদায়ে তাদের আরো এক বছরের বিনাশ্রম কারাভোগ করতে হবে।

আদালতের উচ্চমান বেঞ্চ সহকারী ফকির মো. জাহিদুল ইসলাম বাসস’কে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০২২ সালের ১৪ জুন হতে ১৬ জুন পর্যন্ত মামলার আসামিরা পল্টনের শান্তিনগরের ইস্ট্রার্ণ পীসের নাজমুল হক সুমনের বাসার ভিতরে জোরপূর্বক প্রবেশ করে ডিবি পুলিশের পরিচয় দিয়ে চাঁদা দাবি ও টাকা আদায় করে। মামলার বাদী টাকা দিতে অস্বীকার করলে ইয়াবা সদৃশ ট্যাবলেট দিয়ে ফাঁসিয়ে দিতে হুমকি প্রদান করেন। মামলার বাদী বাধ্য হয়ে ৫০ হাজার টাকা প্রদান করেন।এরপর আসামিরা বাদী মোটরসাইকেল নিয়ে নেন। মোটরসাইকেল ছাড়িয়ে আনতে তারা আরো একলাখ টাকা চাঁদাদাবি করেন।

এ ঘটনায় নাজমুল হক সুমন ২০২১ সালের ২০ জুন পল্টন থানায় একটি মামলা করেন। মামলার পর আসামি ফরহান ঘটনার দায় স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। মামলাটি তদন্ত শেষে ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি পল্টন থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ সেন্টু মিয়া চারজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। মামলার বিচার চলাকালে ১০ জন সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য প্রদান করেন।