শিরোনাম
ঢাকা, ২৫ আগস্ট, ২০২৫ (বাসস) : নড়াইল জেলার কালিয়া থানার বিএনপি নেতা মাসুদ রানাকে হত্যার অভিযোগে করা মামলায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা কাজল মোল্লাসহ ছয় জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন ঢাকার একটি ট্রাইব্যুনাল।
অপর দিকে ১১ আসামিকে বিভিন্ন ধারায় কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায়, ২১ জনকে খালাস প্রদান করেন ট্রাইব্যুনাল।
আজ ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক রফিকুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রাপ্ত অপর আসামিরা হলেন- শিপুন মোল্লা, লিংকু শেখ, লিঠু মোল্লা, তপু খান ও সেতু মোল্লা। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পাশাপাশি প্রত্যেকের ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডের আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। অর্থদণ্ড অনাদায়ে তাদেরকে আরো ছয় মাসের কারাভোগ করতে হবে।
বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের মধ্যে রয়েছেন- তৈয়েবুর গাজী, হুমায়ূন মোল্লা, লিমন মোল্লা, হৃদয় খান, টনি মোল্লা, সোহান মোল্লা ও হাসমত মোল্লা। দণ্ডবিধি ৩২৩ ও ৩০৭ ধারায় এদেরকে দশ বছর করে বিশ বছর বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।
এছাড়া আসামি নজরুল মোল্লা, রবি মোল্লা, আবুজর মোল্লা ও সম্রাজ মোল্লাকে পৃথক তিন ধারায় ২১ মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।
ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁশলি ডালিয়া পারভীন বাসস’কে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার আভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০২০ সালের ৫ আগস্ট আসামীরা পূর্ব পরিকল্পনা অনুযাযী দুই নলা বন্দুক, শর্টগাট, পিস্তল, রামদা, চাপাতি, শাবল, লোহার রড, হকিস্টিক, হাতুড়ী ও বাশের লাঠিসহ মারাত্মক অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে নড়াইল জেলার কালিয়া থানাধীন ডেওয়াডাঙ্গার সরদার তবিবর রহমানের বাড়িতে অতর্কিত হামলা চালায়।
এরপর আসামী কাজল মোল্লা হুকুম সেই বাড়ির সবাইকে গুলি করে, কুপিয়ে ও পিটিয়ে খুন করার নির্দেশ দেয়।
আসামী কাজল মোল্লা তার হাতে থাকা দোনালা বন্দুক দিয়ে খুন করার উদ্দেশ্যে ভিকটিম মাসুদ রানাকে মাথার বাম পাশে গুলি করে এবং ঘটনাস্থলে অন্যান্য আসামীরা দশ জনকে গুলিবিদ্ধ করে।
মাসুদ রানাকে হাসপাতালে নেওয়ার পথে মৃত্যুবরণ করে।
এ ঘটনায় পরের দিন ৬ আগস্ট মাসুদ রানার ছোট ভাই মামুন শেখ কালিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলাটি তদন্ত শেষে একই বছরের ১২ অক্টোবর কাজল মোল্লাসহ ৩৮ জনকে আসামি করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়।
২০২১ সালের ১ সেপ্টেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত।
মামলাটি বিচার চলাকালে চার্জশিটভুক্ত ৪৭ জনের মধ্যে ৪০ জন আদালতে সাক্ষ্য প্রদান করেন।
আসামী কাজল মোল্লা ও লিংকু শেখ আদালতে দায় স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করে।