বাসস
  ১৯ আগস্ট ২০২৫, ১৯:১০

নির্বাচনের আগে জুলাই সনদের আইনি স্বীকৃতির দাবি ইসলামী আন্দোলনের

ছবি: ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ফেসবুক পেইজ

ঢাকা, ১৯ আগস্ট, ২০২৫ (বাসস): নির্বাচনের আগে জুলাই সনদের আইনি স্বীকৃতি এবং আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতিতে ভোট আয়োজনের দাবি জানিয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।

আজ বিকেলে রাজধানীর বায়তুল মোকাররম উত্তর গেটে আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে দলের আমির চরমোনাইর পীর বলেন, ‘দেশ যখন অন্যায়, খুন-খারাবি ও বৈষম্যে জর্জরিত ছিল তখন ছাত্র-জনতা রক্ত দিয়ে এদেশকে উদ্ধার করেছে। যদি কোনো মহল চাপ প্রয়োগ করে প্রধান উপদেষ্টাকে সংস্কারের আগে নির্বাচনের ঘোষণা দিতে বাধ্য করে। তবে আমরা স্পষ্ট করে জানিয়ে দিচ্ছি-সংস্কার ছাড়া পূর্বের নিয়মে নির্বাচন হতে দেয়া হবে না।’

তিনি বলেন, বিগত ৫৪ বছরে প্রচলিত নির্বাচনী ব্যবস্থায় শান্তি আসেনি। বরং কালো টাকা, মাস্তানি ও সন্ত্রাসের দৌরাত্ম্য বেড়েছে। বিশ্বের বহু দেশ আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতির মাধ্যমে এই সংকট কাটিয়ে উঠেছে। তাই বাংলাদেশেও পিআর পদ্ধতির নির্বাচন চালু করাই সময়ের দাবি।

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন দলের যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর উত্তর সভাপতি প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ।

অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রিন্সিপাল মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল-মাদানী, অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, মুখপাত্র মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা ইমতিয়াজ আলম, সহকারী মহাসচিব মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, মাওলানা মুহাম্মদ আরিফুল ইসলাম, মুফতী রেজাউল করীম আবরার, যুবনেতা মুফতি মানসুর আহমদ সাকী, ছাত্রনেতা মাহবুবুর রহমান নাহিয়ান, মাওলানা কেএম শরীয়াতুল্লাহ, মুফতী ফরিদুল ইসলাম এবং শ্রমিকনেতা রমজান আলী।

বক্তারা বলেন, পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে সন্ত্রাসী, টেন্ডারবাজ ও কালোটাকার মালিকরা নির্বাচনী রাজনীতি থেকে বাদ পড়বে এবং জনগণের ভোটাধিকার সুরক্ষিত হবে।

মুখপাত্র মাওলানা গাজী আতাউর রহমান বলেন, বিদ্যমান পদ্ধতিতে সুষ্ঠু নির্বাচন করা সম্ভব নয়। তাই লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে হলে পিআর পদ্ধতিই একমাত্র সমাধান।

সমাবেশ শেষে বায়তুল মোকাররম থেকে একটি গণমিছিল বের করা হয়। পীর সাহেব চরমোনাইয়ের নেতৃত্বে মিছিলটি পল্টন মোড় ও বিজয়নগর হয়ে পানির ট্যাঙ্কির কাছে গিয়ে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য ও মোনাজাতের মাধ্যমে সমাপ্ত হয়।