শিরোনাম
ঢাকা, ১৮ আগস্ট ২০২৫ (বাসস) : বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেছেন, বিশ্ব সভ্যতার কেন্দ্র হচ্ছে গ্রামের মহিমা, আর সেই গ্রামের প্রধান পুরুষ হচ্ছেন কৃষক। সেই কৃষকের ছবি এঁকে এস এম সুলতান কৃষকের জীবন-সংগ্রামকে চিত্রিত করেছেন।
তিনি বলেন, শিল্পী এস এম সুলতান বাংলাদেশের নতুন শিল্প আন্দোলনের অগ্রদূত । তাঁর সামগ্রিক শিল্পচর্চা, জীবনবোধ ও সৃষ্টি সবকিছু মিলিয়েই আমার কাছে তাই মনে হয়েছে।
আজ চারুশিল্পী ও ভাস্কর স্মরণে জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে প্রবন্ধ পাঠ ও আলোচনা অনুষ্ঠান ‘সৃজনে - স্মৃতিতে’ আয়োজিত অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বে আলোচক হিসেবে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ এসব কথা বলেন।
শিল্পী এস এম সুলতান-এর উপর প্রবন্ধ রচনা ও পাঠ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিল্পকলার ইতিহাস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সঞ্জয় দে রিপন।
শিল্পী এস এম সুলতানকে নিয়ে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন শিল্পী এস এম সুলতানের ঘনিষ্ঠ ছাত্র মাহবুব জামাল শামিম ও এস এম সুলতান প্রেমী আসাদুল করিম শাহীন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির চারুকলা বিভাগের পরিচালক (দায়িত্বপ্রাপ্ত) প্রদ্যোত কুমার দাস।
দ্বিতীয় পর্বে একই স্থানে ভাস্কর নভেরা আহমেদ স্মরণে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির চারুকলা বিভাগের পরিচালক (দায়িত্বপ্রাপ্ত) প্রদ্যোত কুমার দাস সভাপতিত্ব করেন।
ভাস্কর নভেরা আহমেদ-কে নিয়ে প্রবন্ধ রচনা ও পাঠ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিল্পকলার ইতিহাস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক নিফাত সুলতানা।
নিফাত সুলতানা নভেরার গন্তব্যহীন শিল্পভাষা শীর্ষক প্রবন্ধে ভাস্কর ও ব্যক্তি নভেরাকে তুলে এনেছেন। নভেরা তার সৃষ্টিতে এক অনবদ্য সৌন্দর্যের পরিচয় তুলে ধরেছেন। ব্যক্তি নভেরার মত তার ভাস্কর্যেও অনির্ধারিততা ফুটে উঠেছে। ভাঙা এবং গড়ার বিমূর্তো রূপ যেন তিনি। কখনো দর্শকদের ভাবনায় ফেলেছেন তিনি। আত্মাভিমানী নভেরা নিজেকে বাঙালি হিসেবেই পরিচয় দিতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করতেন। বিদেশের মাটিতে থাকলেও বাংলাদেশকে তার অস্তিত্বের শিকড় হিসেবে মনে করতেন। ফরাসি পাসপোর্ট আছে কিনা একবার এর জবাবে বলেছিলেন বাংলাদেশ। একমাত্র বাক্যে ফুটে উঠেছে প্রতি গভীর টান। তিনি ইচ্ছে করলেই অনায়াসেই সে দেশের পাসপোর্ট অধিকারী হতে পারতেন তো তিনি করার চেষ্টা করেননি।
এতে আলোচক হিসেবে অংশগ্রহণ করেন নভেরা গবেষক ও শিল্প-ইতিহাসবিদ ড. রেজাউল করিম সুমন এবং শিল্পী নাসিম আহমেদ নাদভি।