বাসস
  ১৩ আগস্ট ২০২৫, ১৭:৪৭

সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য সিইসি’র কাছে ইসলামী আন্দোলনের সাত দফা প্রস্তাব

ঢাকা, ১৩ আগস্ট, ২০২৫ (বাসস) : অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সাত দফা প্রস্তাব দিয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। 

দলটি দাবি করেছে, জুলাই জাতীয় সনদের আলোকে এবং প্রয়োজনীয় সাংবিধানিক ও প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারের মাধ্যমে জাতীয় সংসদ নির্বাচনসহ সকল স্থানীয় সরকার নির্বাচন আয়োজন করতে হবে।

আজ বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে এক বৈঠকে দলের মহাসচিব ইউনুছ আহমাদের নেতৃত্বে চার সদস্যের প্রতিনিধি দল এ প্রস্তাবনা পেশ করে। 

প্রতিনিধি দলে আরও ছিলেন প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব ও মুখপাত্র মাওলানা গাজী আতাউর রহমান এবং যুগ্ম মহাসচিব ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম।

প্রস্তাবে বলা হয়েছে— সংসদ নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন আয়োজন করে দলীয় প্রভাব ও ক্ষমতার অপব্যবহার থেকে উত্তরণ; নির্বাচনী কাজে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালনের জন্য যথাযথ প্রশিক্ষণ ও দিকনির্দেশনা প্রদান এবং দায়িত্বে ব্যর্থ হলে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ; সেনাবাহিনীকে শুধু স্ট্রাইকিং ফোর্স নয়, প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে মোতায়েন; জুলাই জাতীয় সনদের আলোকে জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচন আয়োজন; শতভাগ জনমতের প্রতিফলন নিশ্চিত করতে সংখ্যানুপাতিক বা পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন চালু; আওয়ামী লীগ ও তাদের সহযোগী দলগুলোকে ‘অযোগ্য’ ঘোষণা করে নিবন্ধন বাতিল এবং দুর্নীতিবাজ, সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, দখলবাজ, টেন্ডারবাজ ও খুনিদের নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা।

সিইসি’র সঙ্গে বৈঠক শেষে মাওলানা গাজী আতাউর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিদ্যমান পদ্ধতি বাতিল করে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন দিতে হবে। পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন এখন গণদাবি। আমরা জনগণের কাছে এই দাবি নিয়ে যাব। আমাদের লক্ষ্য একটি কার্যকর, বিশ্বাসযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিশ্চিত করা।’

তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য এখনো লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড অনুপস্থিত। নির্বাচনে অংশগ্রহণ করব কি-না, তা নির্ভর করবে নির্বাচনী পরিবেশের ওপর। পিআর পদ্ধতি বাস্তবায়ন ছাড়া সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কঠিন হবে।’

ইসলামী আন্দোলন মনে করে, এসব প্রস্তাব বাস্তবায়িত হলে রাজনৈতিক সংস্কৃতি ইতিবাচক দিকে পরিবর্তিত হবে এবং নির্বাচন নিয়ে জনগণের আস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হবে।