বাসস
  ১৮ জুলাই ২০২৫, ১৭:২২
আপডেট : ১৮ জুলাই ২০২৫, ১৮:৩১

বোটানিক্যাল গার্ডেনে ৬৯ পাখি ও ২ কচ্ছপ অবমুক্ত 

বন অধিদপ্তরের বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিট শুক্রবার রাজধানীর মিরপুর-১ এলাকায় পাখির হাটে পরিচালিত অভিযানে ৬৯টি পাখি এবং দুইটি কচ্ছপ উদ্ধার করে। ছবি: বাসস

ঢাকা, ১৮ জুলাই, ২০২৫ (বাসস) : বন্যপ্রাণী সুরক্ষা আইন বাস্তবায়নে বন অধিদপ্তরের বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিট রাজধানীর মিরপুর-১ এলাকায় পাখির হাটে একটি অভিযান পরিচালনা করেছে।

আজ শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত পরিচালিত এই অভিযানে মোট ৬৯টি পাখি এবং দুইটি কচ্ছপ উদ্ধার করা হয়।

উদ্ধারকৃত পাখিগুলোর মধ্যে রয়েছে- ৪৯টি টিয়া, তিনটি হরিয়াল ও ঘুঘু, দশটি মুনিয়া এবং পাঁচটি শালিক। এছাড়া উদ্ধার করা হয়েছে দুইটি কচ্ছপ। অভিযান শেষে পাখিগুলো মিরপুর বোটানিক্যাল গার্ডেনে এবং কচ্ছপগুলো গার্ডেনের পুকুরে অবমুক্ত করা হয়।

বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিট জানায়, পাখি এবং অন্যান্য বন্যপ্রাণী বিক্রি ও খাঁচাবন্দি রাখা বাংলাদেশ বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন, ২০১২ অনুযায়ী দণ্ডনীয় অপরাধ। জনসচেতনতা বাড়ানো এবং অবৈধ বন্যপ্রাণী বাণিজ্য বন্ধে এ ধরনের অভিযান নিয়মিত পরিচালিত হচ্ছে।

বন অধিদপ্তরের প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরী জানান, প্রকৃতিতে বন্যপ্রাণীর স্বাধীন বিচরণই তাদের প্রাকৃতিক অধিকার। শহরের পাখির হাটগুলোতে যেভাবে অসংখ্য বন্য প্রাণী খাঁচায় বন্দি হয়ে বিক্রি হচ্ছে, তা শুধু বেআইনি নয়, নিষ্ঠুরও বটে। তিনি জানান, উদ্ধারকৃত প্রাণীগুলো প্রাথমিক পর্যবেক্ষণ শেষে নিরাপদ পরিবেশে অবমুক্ত করা হয়েছে।

বন অধিদপ্তর সকল নাগরিককে বন্যপ্রাণী কেনাবেচা ও খাঁচায় পোষা থেকে বিরত থাকতে এবং এ ধরনের বেআইনি কার্যকলাপের তথ্য দিয়ে সহযোগিতার আহ্বান জানিয়েছে। এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।