বাসস
  ১৮ জুলাই ২০২৫, ১৬:১৩
আপডেট : ১৮ জুলাই ২০২৫, ১৮:০১

গণতন্ত্রকে নস্যাৎ করতে ষড়যন্ত্রকারীরা ঘাপটি মেরে রয়েছে: ডা. জাহিদ

শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বক্তব্য দেন। ছবি : বাসস

ঢাকা, ১৮ জুলাই, ২০২৫ (বাসস): বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেছেন, গণতন্ত্রকে নস্যাৎ করতে ষড়যন্ত্রকারীরা ঘাপটি মেরে রয়েছে। এই ষড়যন্ত্রকারীরা গণতন্ত্র ফেরানোর পথে প্রধান অন্তরায়। এ ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। 

তিনি বলেন, ‘আমাদের ভেতরে যারা আজকে গণতন্ত্রকে নস্যাৎ করতে চায়, সেই ষড়যন্ত্রকারীরাও ঘাপটি মেরে রয়েছে। তাদের চরিত্র উন্মোচন করা আজকে আমাদের দায়িত্ব। মিটফোর্ডের ঘটনার পর দ্রুততার সঙ্গে বিএনপি ও তার অঙ্গ-সহযোগী সংগঠন ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে এবং দাবি তুলেছে দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই।’

আজ শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন এসব কথা বলেন। দেশে গণতান্ত্রিক পরিবেশ বিনষ্টের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের উদ্যোগে এই সমাবেশ ও মৌন মিছিলের আয়োজন করা হয়।

তিনি বলেন, আমাদের নেতা তারেক রহমানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ট্যাগিং করা হচ্ছে। একবারও ভাবেন না আপনারা কী করছেন? কেন আগুন নিয়ে খেলার চেষ্টা করছেন, অন্যের ক্রীড়নক হয়ে কেনো আপনারা দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতিকে বিনষ্ট করার চেষ্টা করছেন?  সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে, ধৈর্য ধরতে হবে। ওদের (ষড়যন্ত্রকারীদের) উসকানিতে পা দেয়া যাবে না।

ঐক্য বিনষ্টকারীদের উদ্দেশ্যে ডা. জাহিদ বলেন, রাজনীতি করুন, ময়দানে আসুন। বিএনপি ও সমমনা দলগুলো একত্রিত কর্মসূচি নিয়ে এসেছে। আপনাদের কী কর্মসূচি রয়েছে সেটি নিয়ে আসুন। 

তিনি সবাইকে আহ্বান জানিয়ে বলেন, ধৈর্য ধরুন, ঐক্যবদ্ধভাবে স্বৈরাচারকে যেমন রুখেছি, তারা পালিয়ে গেছে এবং একইভাবে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার যে লড়াই সেই লড়াইয়েও আমরাই বিজয়ী হবো। ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে। কোনো অবস্থাতেই ষড়যন্ত্রকারীরা কামিয়াবি হবে না।

জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের উদ্যোগে দেশে গণতান্ত্রিক পরিবেশ বিনষ্টের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশের পর মৌন মিছিল কদম ফোয়ারা চত্বর ঘুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এসে শেষ হয়।

ঐক্য বিনষ্ট করলে কী হয় কিছু আলামত পাওয়া যাচ্ছে উল্লেখ করে অধ্যাপক জাহিদ হোসেন বলেন, জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে পেশাজীবীদের অবদানকে ছোট করে দেখার সুযোগ নেই। মনে রাখতে হবে, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের লড়াইয়ে রাজনীতিবিদরাও ছিলেন, পেশাজীবীরাও ছিলেন এবং আছেন। এই অবস্থায় আমরা যখন দেখতে পাই রাজনীতিবিদদের মধ্যে ছোট-ছোট স্বার্থের জন্য অনৈক্য তখন আমরা হতাশাগ্রস্ত হই।

সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের সদস্য আবদুল কাদের চৌধুরী সঞ্চালনায় সমাবেশে গণফোরামের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, অধ্যাপক লুৎফুর রহমান, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শামসুল আলম সেলিম, অবসরপ্রাপ্ত সচিব আবদুল বারী, ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের অধ্যাপক রফিকুল কবীর লাবু, এগ্রিকালচারিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের শামীমুর রহমান শামীম, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের রফিকুল ইসলাম, শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোটের জাকির হোসেন, নার্সেস অ্যাসোসিয়েশনের জাহানারা সিদ্দিকী, সাংবাদিক মুরসালিন নোমানী, রাশেদুল হক ও সাঈদ খান বক্তব্য রাখেন।