শিরোনাম
ঢাকা, ১৪ জুলাই, ২০২৫ (বাসস) : জাতীয় সমাবেশকে সর্বাত্নকভাবে সফল করতে যুব সমাজকে অগ্রসৈনিকের ভূমিকা পালনের আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এডভোকেট এহসানুল মাহবুব জোবায়ের।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আগামী ১৯ জুলাইয়ের জাতীয় সমাবেশ রাজনীতির গতিপথ ও জনগণের ভাগ্য নির্ধারণী সমাবেশ।
সোমবার সকালে রাজধানীর একটি মিলনায়তনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী উত্তরের যুব বিভাগ আয়োজিত আগামী জাতীয় সমাবেশ বাস্তবায়ন উপলক্ষে যুব বিভাগের এক দায়িত্বশীল সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
এডভোকেট জোবায়ের বলেন, আগামী ১৯ তারিখের এই সমাবেশ, দেশ ও জাতির জন্য অতি গুরুত্বপূর্ণ সমাবেশ। সে ঐতিহাসিক সমাবেশের মাধ্যমে জাতীয় জীবনের গতিপথ ও করণীয় নির্ধারিত হবে।
তিনি আরো বলেন, আমরা ৭ দফার দাবি আদায়ের লক্ষ্যে এ জাতীয় সমাবেশের ডাক দিয়েছি। দাবিগুলো আদায় হলে দেশে গণতন্ত্র, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও সুশাসন ফিরে আসবে এবং দুর্নীতিমুক্ত ইনসাফপূর্ণ সমাজ গঠনে সহায়ক হবে। আর জুলাই সনদ ঘোষণা ও তা বাস্তবায়ন করা গেলে রাজনীতিতে দুর্বৃত্তায়ন বন্ধ হবে।
জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, জুলাই বিপ্লবীরা দেশ ও জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান এবং জাতীয় বীর। তাই তাদেরকে যথাযথভাবে রাষ্ট্রীয় সম্মাননা প্রদান করতে হবে। জুলাই গণহত্যার বিচার, শহীদ পরিবারের প্রতি রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা ও আহতদের সুচিকিৎসার ব্যবস্থার পাশাপাশি একই সাথে পুনর্বাসন করতে হবে।
আগামী দিনে জনপ্রতিনিধিত্বশীল সরকার গঠনে পিআর পদ্ধতির মাধ্যমে নির্বানের আহবান জানান তিনি।
তিনি আরো বলেন, মূলত সুশাসনের অভাবেই আমাদের দেশের যুব সমাজের মধ্যে অবক্ষয়ের জয়জয়কার শুরু হয়েছে। যুব সমাজের একটি বৃহৎ অংশ আজ মাদকাসক্ত। জামায়াতে ইসলামী মাদকমুক্ত দেশ গড়তে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
এডভোকেট জোবায়ের বলেন, এ ক্ষেত্রে আমাদের যুব সমাজকেই অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। আমাদের অবক্ষয়িত যুব সমাজের ধর্মীয় শিক্ষা ও মূল্যবোধ সৃষ্টিতে নিরলসভাবে কাজ করতে হবে।
জাতীয় সমাবেশ বাস্তবায়ন প্রসঙ্গে যুব সমাজের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আজকের যুব সমাজই আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। তাই সমাবেশের দিনে কারো ঘরে বসে থাকার সুযোগ নেই বরং ময়দানে সর্বশক্তি নিয়োগ করে জাতীয় সমাবেশ বাস্তবায়নে সর্বাত্নক প্রচেষ্টা চালাতে হবে। সমাবেশ বাস্তবায়নে নগরীর প্রতিটি ঘরে ঘরে দাওয়াত পৌঁছাতে সকলের প্রতি আহবান জানান তিনি।
প্রধান আলোচকের আলোচনায় কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমীর মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন বলেন, ঢাকা শহরের অলিগলিতে যে চাঁদাবাজি শুরু হয়েছে, তা প্রতিরোধ করার জন্য যুব সমাজকে এগিয়ে আসতে হবে।
তিনি আরো বলেন, নগরবাসীর নিরাপত্তার জন্য ঢাকা মহানগরী উত্তরের প্রত্যেকটি ওয়ার্ডে জনগণকে সাথে নিয়ে যুবকদের সংগঠিত করে চাঁদাবাজ সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।
সেলিম উদ্দিন বলেন, আগামী দিনের বাংলাদেশে তরুণ সমাজ নেতৃত্ব দিবে। তাই দেশ ও জাতির এ ক্রান্তিকালে যুব সমাজকেই কাণ্ডারীর ভূমিকা পালন করতে হবে।
যুব বিভাগের সভাপতি ডা. মঈন উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি হাসানুল বান্না চপলের সঞ্চালনায় সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় মজলিস শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সহকারি সেক্রেটারি ডা. ফখরুদ্দিন মানিক ও মাওলানা ইয়াছিন আরাফাত।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- মহানগরীর শূরা সদস্য কলিম, জি এম হাফিজুর রহমান, মহানগর উত্তর যুব বিভাগের সহ-সভাপতি নাসির উদ্দিন খান সজল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এস এম আরাফাত হোসাইন, সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন পাটোয়ারী, অর্থ সম্পাদক আবু তোরাব পান্না ও আইন সম্পাদক কবির হোসেন প্রমুখ।