শিরোনাম
সিলেট, ১৩ জুলাই, ২০২৫ (বাসস) : বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেছেন, বিএনপি আইনের শাসনে বিশ্বাস করে, মব ভায়োলেন্সে বিশ্বাস করে না।
তিনি আজ রোববার সিলেটের সুবিদবাজারের পিটিআই অডিটোরিয়ামে সিলেট মহানগর বিএনপির বিশেষ সভায় এ কথা বলেন।
বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা প্রশ্ন করেন যে, মব ভায়োলেন্স শুরু করেছে কারা? তিনি বলেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠন এসব কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত না। পত্রিকার পাতা উল্টালে এসব ভায়োলেন্সের সাথে জড়িতদের খুঁজে পেয়ে যাবেন, পরিচয় জেনে যাবেন।
তিনি আরও বলেন, যারা মব ভায়োলেন্স করতে অভ্যস্ত, তারা এসব ঘটিয়েছে। সংশ্লিষ্ট লোকদেরকে গ্রেপ্তার করে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করা সভ্য সমাজের জন্য অতীব জরুরি। অন্যথায় সভ্যতা ধ্বংস হয়ে যাবে, গণতন্ত্র ধ্বংস হয়ে যাবে। কোনো অবস্থাতেই আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়াকে বিএনপি প্রশ্রয় দেয় না।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ডা. জাহিদ বলেন, দেশে একটি সরকার আছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আছে, আইন-আদালত আছে। আইনের শাসনের বিষয়টি তারাই দেখবে।
কিছু লোক উস্কানি দিয়ে বিএনপিকে বিপথগামী করার চেষ্টা করছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, বিএনপির বিরুদ্ধে কতিপয় লোক দিয়ে মিছিল করানো হচ্ছে। তারা চান আমরা পাল্টা মিছিল করি? বিএনপি আগুনে পুড়ে সোনায় পরিণত হয়েছে। বিএনপি কারো উস্কানিতে পা দিবে না। যতই চেষ্টা করা হোক বিএনপিকে বিপথগামী করতে পারবে না।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. জাহিদ হোসেন আরও বলেন, বিএনপি তারেক রহমানের নেতৃত্বে আজকে অত্যন্ত ঐক্যবদ্ধ এবং সুকঠিনভাবে ঐক্যবদ্ধ। যে কোনো ষড়যন্ত্র মোকাবেলার জন্য বিএনপি প্রস্তুত। জনগণকে সাথে নিয়ে বিএনপি গণতন্ত্র হরণ এবং গণতন্ত্রকে দূরে ঠেলে দেয়ার ষড়যন্ত্র প্রতিহত করেছে। আজও জনগণকে সাথে নিয়ে বিএনপি যে কোনো ষড়যন্ত্র মোকাবেলার জন্য যথেষ্ট শক্তি রাখে এবং প্রস্তুত আছে।
সিলেট মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল হাসান কয়েস লোদীর সভাপতিত্বে সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক জি কে গউছ। মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ হোসেন চৌধুরী অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা তাহসিনা রুশদির লুনা, ড. এনামুল হক চৌধুরী, খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির, আরিফুল হক চৌধুরী, যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এম আব্দুল মালিক, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক কলিম উদ্দিন মিলন, মিফতাহ সিদ্দিকী, কেন্দ্রীয় সহ-ক্ষুদ্রঋণ বিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রাজ্জাক।