বাসস
  ১০ জুলাই ২০২৫, ২০:০৭

আগামী প্রজন্মকে তামাকের করাল গ্রাস থেকে রক্ষা করার আহ্বান 

বৃহস্পতিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুজাফফর আহমেদ চেীধুরী মিলনায়তনে তামাক বিরোধী যুব সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা, ১০ জুলাই, ২০২৫ (বাসস): তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন শক্তিশালীকরণের দাবিতে তামাক বিরোধী যুব সমাবেশে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের প্রস্তাবিত সংশোধনী দ্রুত পাসের মাধ্যমে আগামী প্রজন্মকে তামাকের করাল গ্রাস থেকে রক্ষা করার আহ্বান জানানো হয়েছে। 

দেশে বর্তমানে ১৫ বছর ও তদূর্ধ্ব জনগোষ্ঠীর মধ্যে তামাক ব্যবহারের হার ৩৫ দশমিক ৩ শতাংশ।

আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুজাফফর আহমেদ চেীধুরী মিলনায়তনে ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন অব দ্য রুরাল পূয়র-ড্রপ এর আয়োজনে, ঢাকা আহছানিয়া মিশন, নারী মৈত্রী এবং ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন এর অংশগ্রহণে ‘তরুণদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন দ্রুত শক্তিশালী করা প্রয়োজন’ শীর্ষক তামাক বিরোধী এই যুব সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সদস্যদের পাশাপাশি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, বিইউপি, ঢাকা কলেজ, গভঃ বাংলা কলেজ, খিলগাঁও মডেল কলেজসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রায় দুই শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।

সভায় কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্ট এর চেয়ারম্যান ডা. আবু মোহাম্মদ জাকির হোসেন প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। 

তিনি বলেন, বাংলাদেশে ৬৮ ভাগ মানুষ অসংক্রামক রোগে মারা যায়। তামাক তাদের ৫১ শতাংশের মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ। তাই জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের প্রস্তাবিত সংশোধনী দ্রুত পাশ করার জন্য প্রজ্ঞাপন জারি করা জরুরি।

সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক ডা. খালেদা ইসলাম। সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ড্রপ এর প্রোগ্রাম কোঅর্ডিনেটর জেবা আফরোজা। উপস্থাপিত মূল প্রবন্ধে তামাক নিয়ন্ত্রণের জন্য ডব্লিউএইচও ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অন টোবাকো কন্ট্রোল-এফসিটিসির সাথে সামঞ্জস্য রেখে, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের প্রণীত খসড়ার সংশোধনীগুলোর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ ৬টি প্রস্তাব তুলে ধরেন তিনি। বক্তব্য রাখেন নারী মৈত্রীর নির্বাহী পরিচালক নাসরিন আক্তার ডলি।

সমাবেশে তামাক বিরোধী সংগঠনদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রজ্ঞা, বিএনটিটিপি, বিসিসিপি, টিসিআরসি, ডাব্লিউবিবি ট্রাষ্ট, নাটাব, এইড ফাউন্ডেশন, গ্রাম বাংলা উন্নয়ন কমিটি, প্রত্যাশা, পিপিআরসি, মানস, তাবিনাজ, ডাস এবং বিটিসিএ।