বাসস
  ১৪ জুন ২০২৫, ১৭:২৪

ঈদের ছুটি শেষে উত্তরাঞ্চল থেকে রাজধানীতে ফিরছে মানুষ 

ঈদের ছুটি শেষে উত্তরাঞ্চল থেকে রাজধানীতে ফিরছে মানুষ। ছবি: বাসস

সিরাজগঞ্জ, ১৪ জুন ২০২৫ (বাসস): পবিত্র ঈদুল আজহার ছুটিতে শিকড়ের টানে স্বজনদের সঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগি শেষে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষ রাজধানীতে ফিরছেন। সড়ক পথে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের প্রায় সব পরিবহনই সিরাজগঞ্জ রোড-যমুনা সেতু হয়ে রাজধানী অভিমুখে যাচ্ছে। ফলে উত্তরাঞ্চল থেকে যমুনা সেতু হয়ে ঢাকামুখী ফিরতি পথে যানবাহনের চাপ বেড়েছে। কোথাও কোথাও দেখা যাচ্ছে যানবাহনের দীর্ঘ সারি।

বিভিন্ন পরিবহনের যাত্রীবাহী বাসের পাশাপাশি প্রাইভেটকার, ট্রাক, মাইক্রোবাস ও মোটরসাইকেলের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। এতে মহাসড়কের কিছু স্থানে যানবাহনের ধীরগতির সঙ্গে যানজট দেখা দিয়েছে। 

আজ শনিবার সকাল থেকেই যমুনা সেতু পশ্চিম সয়দাবাদের কাঠালতলা, কড্ডার মোড় এলাকায় ঢাকাগামী লেনে যানবাহনের ধীরগতি দেখা গেছে। কামারখন্দ উপজেলার ঝাউল ওভার ব্রিজ থেকে যমুনা সেতু পশ্চিম টোল প্লাজা পর্যন্ত প্রায় ১০ কিলোমিটার সড়কে থেমে থেমে গণপরিবহন চলাচল করছে। এতে ঢাকাঅভিমুখী যাত্রীরা ভোগান্তিতে পড়েছেন।

সয়দাবাদ ইউনিয়নের কাঠালতলা থেকে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করা গার্মেন্টস কর্মী আজিজ সরকার জানান, ঈদের ছুটি শেষে কর্মস্থলে যাওয়ার জন্য পরিবার নিয়ে রওনা হয়েছেন। কিন্তু সকাল থেকেই গাড়ির ব্যাপক চাপ। একারনে সেতু পারাপারে সময় লাগছে। 

যমুনা সেতু পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, ঈদের ছুটির শেষ দিনে মহাসড়কের যানবাহনের চাপ বেশি থাকায় এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। তবে দুপুর নাগাদ এই চাপ কমে যাবে বলে তিনি উল্লেখ করেন। 

হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রউফ বলেন, রোববার থেকে সরকারি অফিস-আদালত এবং বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠান খোলা থাকবে। একারণে পরিবারের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি শেষে কর্মস্থলে  ছুটছে মানুষ। এতে মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বেড়েছে।

তিনি আরও বলেন, মহাসড়কে গাড়ির চাপ বৃদ্ধিতে যানবাহনের ধীরগতি সৃষ্টি হলেও গোলচত্ত্বর এলাকায় কোনো সমস্যা নেই। 

যমুনা সেতু সাইট অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবির পাভেল জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় ৪৯ হাজার ১৮২টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এর মধ্যে উত্তরাঞ্চলে পৌঁছেছে ১৮ হাজার ৩৬৫টি এবং ঢাকামুখী যানবাহন ৩০ হাজার ৮১৭টি। এতে টোল আদায় হয়েছে তিনকোটি ৪৩ লাখ ১৩ হাজার ২০০ টাকা।