বাসস
  ২৮ মে ২০২৫, ২৩:৫৫

শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইনসহ চারজন রিমান্ডে

ছবি: বাসস

ঢাকা, ২৮ মে, ২০২৫ (বাসস): রাজধানীর হাতিরঝিল থানার অস্ত্র আইনের মামলায় শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন ওরফে মো. ফাতেহ আলীর (৬১) আট দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন ঢাকার একটি আদালত। অপর দিকে আসামি আবু রাসেল মাসুদ ওরফে মোল্লা মাসুদ (৫৩), এম এ এস শরিফ (২৫) ও মো. আরাফাত ইবনে মাসুদের (৪৩) ছয় দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

আজ তাদের কারাগার থেকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ।এরপর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তাদের এ মামলায় দশ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন।শুনানি শেষে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জাকির হোসাইন  তাদের এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বিশেষ অভিযানে মঙ্গলবার তাদের গ্রেফতার করা হয়।

রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, ২০০১ সালে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আসামি সুব্রত বাইন ও তার সহযোগী মোল্লা মাসুদসহ ২৩ জন শীর্ষ সন্ত্রাসীর নাম ঘোষণা করে এবং তাদেরকে ধরিয়ে দেয়ার জন্য পুরস্কারের ঘোষণা দেয়া হয়। তারা সন্ত্রাসী বাহিনী সেভেন স্টার গ্রুপ পরিচালনা করতো। সুব্রত বাইন তৎকালীন সময়ে খুন-ডাকাতির মধ্য দিয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করে। আসামিরা বিভিন্ন মামলায় সাজা পেয়ে সাজা ভোগ করা অবস্থায় ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের পর জেল থেকে ছাড়া পেয়ে আবারও সন্ত্রাসী কার্যক্রম শুরু করে।

জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায়, আসামি এস এম শরীফের হাতিরঝিলের একটি বাড়িতে তারা নিয়মিত মিটিং করছিলো এবং সেখানে তাদের ব্যবহৃত অস্ত্র, গুলি অপরাধ সংগঠনের বিভিন্ন সরঞ্জামাদি রাখা আছে। পরে হাতিরঝিল থানার নতুন রাস্তা এলাকা হতে একইদিন বিকাল ৩ টার দিকে আসামি এম এ এস শরীফ ও আসামি মো. আরাফাত ইবনে নাসিরকে আটক করা হয়।

গ্রেফতারকৃত আসামিরা সংঘবদ্ধ অপরাধ চক্রের সক্রিয় সদস্য। প্রাথমিক তদন্তে মামলার আসামিদের এ মামলার সাথে জড়িত থাকার সাক্ষ্য প্রমাণ পাওয়া গেছে। তাদেরকে নিবিড়ভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তাদের আরও অনেক সহযোগীকে গ্রেফতার এবং আরও বিপুল পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধারের সম্ভাবনা রয়েছে বলে রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে।