বাসস
  ২৪ মে ২০২৫, ২০:৪৭

দেশে গণতন্ত্র ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে প্রবাসীদের গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা রয়েছে: রাষ্ট্রদূত মুশফিকুল ফজল আনসারী

ছবি : বাসস

সিলেট ২৪ মে, ২০২৫ (বাসস): মেক্সিকোতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম. মুশফিকুল ফজল আনসারী বলেছেন, দেশে গণতন্ত্র ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে প্রবাসীদের গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা রয়েছে। বিশেষ করে বিগত জুলাই অভ্যুত্থানে প্রবাসীরাও বিদেশে আন্দোলন গড়ে তুলেছেন। আমরা দেখেছি মধ্যপ্রাচ্যের আরব আমিরাতে নিশ্চিত শাস্তি জেনেও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আমাদের প্রবাসীরা মিছিল করে জেল খেটেছেন।

প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে সিলেট বিভাগের বিভিন্ন ব্যক্তিকে চেক প্রদান উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি আজ  এ কথা বলেন। 

ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের মাধ্যমে আজ সিলেট বিভাগের চারটি জেলার প্রবাসী পরিবারের ১৫৪ জনকে ৫ কোটি ১৫ লাখ টাকার চেক প্রদান করা হয়।

নগরীর পিটিআই মিলনায়তনে ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের মহাপরিচালক ব্যারিস্টার মোহাম্মদ গোলাম সরওয়ার ভুইয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত চেক প্রদান অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. নিয়ামত উল্যা ভুইয়াঁ এবং সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার খান মো. রেজা-উন-নবী, সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মো. রেজাউল করিম, সিলেট জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদ প্রমুখ। 

রাষ্ট্রদূত মুশফিকুল ফজল আনসারী বলেন, এ দেশের মানুষ তার অধিকারের প্রশ্নে জেগেছে। আজ সার্বজনীন ইস্পাতকঠিন ঐক্য গড়ে তুলতে হবে। বিভিন্ন বিষয়ে আমাদের মত ভিন্নতা থাকতে পারে। কিন্তু মূল জায়গায় আমরা কোনো ধরনের কম্প্রোমাইজ করবো না।

মুশফিকুল ফজল আনসারী আরো বলেন, বিগত ২০২৩-২৪ সালের হিসাব যদি আমরা পর্যালোচনা করি দেখা যায় পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা আমাদের প্রবাসীরা ৩০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রেমিটেন্স  পাঠিয়েছেন। এরমধ্যে ৮ বিলিয়ন ডলার পাঠিয়েছেন সিলেট অঞ্চলের মানুষ। তার মানে আমাদের ফরেন কারেন্সির প্রায় ২৫ শতাংশের জোগান দিচ্ছেন সিলেট অঞ্চলের মানুষ।

উল্লেখ্য, অনুষ্ঠানে প্রবাসী পরিবারের ৩৬ জন মেধাবী সন্তানকে ১০ লাখ ৪২ হাজার টাকা, প্রবাসী পরিবারের ২০ জন প্রতিবন্ধী সন্তানকে ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা, প্রবাসে মারা যাওয়া কর্মীর ৬৩ টি পরিবারকে ১ কোটি ৮৯ লাখ টাকা, প্রবাসে কর্মরত অবস্থায় অস্বাভাবিকভাবে মৃত্যুবরণকারী কর্মীর ৬টি পরিবারকে আদায়কৃত ব্লাডমানি হিসেবে ১ কোটি ২৮ লাখ টাকা, মৃত্যুজনিত বীমা দাবি পরিশোধ হিসেবে মৃত ২০জন প্রবাসী কর্মীর পরিবারকে ১ কোটি ৬৪ লাখ টাকা, বিদেশ গমনের ৬ মাসের মধ্যে ফেরত আসা ৬ জন কর্মীকে বীমা দাবি পরিশোধ বাবত ৩ লাখ টাকা, বকেয়া বেতন হিসেবে ৩জন মৃত প্রবাসীর পরিবারকে ১৮ লাখ ২৯ হাজার টাকার চেক প্রদান করা হয়।