বাসস
  ১৪ মে ২০২৫, ১২:৪৫

নরসিংদীর হাড়িদোয়া নদী দখলদারদের তালিকা তৈরির নির্দেশ হাইকোর্টের

ঢাকা, ১৪ মে, ২০২৫ (বাসস) : নরসিংদীর হাড়িদোয়া নদীর দখলদার ও দূষণকারীদের তালিকা প্রস্তুত করতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

বিচারপতি মো. আকরাম হোসেন চৌধুরী এবং বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ গতকাল এ আদেশ দেয়।

পাশাপাশি রুলও জারি করে আদালত। বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) জনস্বার্থে আনা রিটের প্রাথমিক শুনানি শেষে এ আদেশ দেওয়া হয়।

জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি), বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক (ডিজি), নরসিংদী জেলা প্রশাসক এবং নরসিংদী জেলার পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালককে এ নির্দেশনা বাস্তবায়নের কথা বলা হয়েছে। একই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সংবিধিবদ্ধ সংস্থা ও স্বতন্ত্র বিশেষজ্ঞদের নিয়ে নদী তীরবর্তী শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোতে দূষণ প্রতিরোধকারী যন্ত্র এবং বর্জ্য পরিশোধন কেন্দ্র প্রতিস্থাপনে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি এর কার্যকারিতা সার্বক্ষণিক তদারকি নিশ্চিত করার জন্য একটি কমিটি গঠন করতে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আদেশে নিয়মিত হাড়িদোয়া নদীর পানির গুণগত মান পরীক্ষার জন্য পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও নরসিংদী জেলার পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আদালতের আদেশ প্রতিপালন সংক্রান্ত প্রতিবেদন তিন মাসের মধ্যে জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

আদালত রুলে নরসিংদী জেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হাড়িদোয়া নদী দখল ও দূষণ থেকে রক্ষার ব্যর্থতা কেন অসাংবিধানিক, বেআইনি ও জনস্বার্থবিরোধী ঘোষণা করা হবে না- সংশ্লিষ্টদের প্রতি তা জানতে চাওয়া হয়েছে। এছাড়াও সিএস, আরএস ম্যাপ ও মূল প্রবাহ অনুযায়ী সীমানা নির্ধারণ, সব দখলদার ও ক্ষতিকর স্থাপনা উচ্ছেদ, দূষণের উৎস চিহ্নিত করে দূষণ নিয়ন্ত্রণের এবং নদীটিকে প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা ঘোষণা ও সে মোতাবেক ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে নদীটি পুনরুদ্ধার, সংরক্ষণ ও রক্ষা করার নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না-রুলে তাও জানতে চেয়েছেন আদালত।

আদালতে বেলার পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট এস হাসানুল বান্না। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মাহফুজুর রহমান মিলন।