শিরোনাম
ঢাকা, ১৩ মে, ২০২৫ (বাসস) : বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ‘আমরা আশা করবো, আগামী দিনগুলোতে পানি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে বর্তমান প্রফেসর ড. ইউনূসের সরকার নিশ্চয়ই বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করবে।’
তিনি বলেন, পানি বাংলাদেশর জন্য গুরুত্বপূর্ণ। ৫৪টা নদী ভারত হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। প্রত্যেকটির ওপরে অগণিত বাঁধ দেওয়া হয়েছে। যার ফলে আমাদের পানির নাব্যতা কমে গিয়েছে। পানি ছাড়া নদীমাতৃক বাংলাদেশের কৃষককূলের যে করুণ অবস্থা, তা বলাই বাহুল্য। বাংলাদেশ অন্যান্য আগ্রাসনের মতো পানি আগ্রাসনের শিকার। তাই আগামীর পানিবণ্টন চুক্তি যেন ন্যায্যতার ভিত্তিতে হয়, সেটা সরকারকে নিশ্চিত করতে হবে।
আজ মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে আন্তর্জাতিক ফারাক্কা কমিটির উদ্যোগে ‘মাওলানা ভাসানী ফারাক্কা লং মার্চ স্মরণে গণসমাবেশ’ উপলক্ষে আয়োজিত গোলটেবিল বৈঠকে মেজর (অব.) হাফিজ এসব কথা বলেন। বৈঠকে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভীসহ আরও অনেকে বক্তব্য রাখেন।
হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, বাংলাদেশ পানি আগ্রাসনের শিকার এ কথাটি আমরা গত ১৬ বছর ধরে শুনিনি। না শোনার কারণ হলো, যারা এই আগ্রাসনের হোতা, তারা এমন স্বৈারাচার এক সরকার এ দেশে বসিয়ে রেখেছিল, যারা বাংলাদেশের স্বার্থের কথা চিন্তা না করে প্রতিবেশীর স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিয়েছিলো। তাই এখন থেকে কোনো আগ্রাসনে জড়িত না হয়ে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেন, বিএনপি সহ বিভিন্ন দলের পক্ষ থেকে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে বারবার দাবি তোলা হচ্ছে নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা দেয়ার। যাতে আন্তর্জাতিক ও জাতীয় অঙ্গনে আমরা বাংলাদেশের মানুষের দাবিগুলো তুলে ধরতে পারি। কিন্তু এখনো পর্যন্ত সুনির্দিষ্ট কোনো রোডম্যাপ পাইনি। এটা নি:সন্দেহে হতাশার। এতে জনগণের কাছে ভুল বার্তা যাচ্ছে।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকার মানবিক করিডোরের কথা বলেছে। বাংলাদেশ ১৮ কোটি মানুষের দেশ। আমরা জানি না, জনগণ জানে না, প্রতিনিধিরা জানে না, কী ধরনের করিডোর দেওয়া হবে এবং এর লক্ষ্য কী। আমরা কি নতুন কোনও যুদ্ধে জড়িয়ে পড়তে যাচ্ছি? এগুলো সম্পর্কে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সরকারের আলাপ-আলোচনা করার দরকার ছিল।
বাংলাদেশের প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে ভারত হস্তক্ষেপ করেছে উল্লেখ করে মেজর হাফিজ বলেন, রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে শুরু করে প্রত্যেকটি প্রকল্পে বাংলাদেশের নতজানু সরকার, শেখ হাসিনার সরকার দেশের মানুষের স্বার্থকে জলাঞ্জলি দিয়ে তারা এদেশকে ভারতের একটি কলোনি বানিয়ে দিয়েছিল। দেশের মানুষকে বাধ্য হয়ে দীর্ঘদিন সংগ্রাম করে এই মাফিয়া সরকারকে অপসারণ করা হয়েছে।