শিরোনাম
ঢাকা, ১২ মে, ২০২৫ (বাসস): দুর্নীতি, হয়রানি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে আজ দেশের বিভিন্ন স্থানে চারটি অভিযান পরিচালনা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) এনফোর্সমেন্ট ইউনিট।
আজ সোমবার দুদকের জনসংযোগ বিভাগ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
প্রথম অভিযানে, রাজধানীর দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) প্রধান কার্যালয় হতে ‘সেকেন্ডারি এডুকেশন ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম (এসইডিপি)’-এর আওতায় পরিচালিত ‘স্ট্রেনদেনিং রিডিং হ্যাবিট অ্যান্ড বিডিং স্কিলস অ্যামাং সেকেন্ডারি স্টুডেন্ট’ শীর্ষক স্কিমে পাঠ্যপুস্তক ক্রয়ে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগের ভিত্তিতে একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানে প্রাপ্ত রেকর্ডপত্র হতে জানা যায়, ২০২১ সাল থেকে পরিচালিত স্কিমটির আওতায় বই ছাপানো, বাস্তবায়ন, বেতন-ভাতা ও প্রশিক্ষণ বাবদ প্রায় ১০১ কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছে। টিম অভিযোগের যথার্থতা যাচাইয়ে স্কিম সম্পর্কিত বিভিন্ন রেকর্ড সংগ্রহ করেছে এবং তা বিশ্লেষণ করে কমিশনে বিস্তারিত প্রতিবেদন দাখিল করবে।
দ্বিতীয় অভিযানে, দুর্নীতি দমন কমিশনের সমন্বিত জেলা কার্যালয়, কুষ্টিয়া হতে কুষ্টিয়া-মেহেরপুর মহাসড়ক নির্মাণে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালিত হয়। প্রায় ৫৩.৭৪ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের মহাসড়ক নির্মাণে ৬৫০ কোটি টাকা বরাদ্দের বিপরীতে দুটি বিভাগের অধীনে সাতটি প্যাকেজে কাজ চলমান রয়েছে, যার মধ্যে প্রায় ৭০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। অভিযানে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে এবং প্রয়োজনীয় রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করা হয়েছে।
তৃতীয় অভিযানে, ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলায় টিআর, কাবিখা ও কাবিটা প্রকল্পের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে সমন্বিত জেলা কার্যালয়, ঝিনাইদহ হতে অভিযান পরিচালিত হয়। সরেজমিন পরিদর্শনে দেখা যায়, শ্রমিক ব্যবহারের বাধ্যবাধকতা থাকা সত্ত্বেও প্রকল্পে ভেকু মেশিন ব্যবহার করে কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। টিম বিস্তারিত যাচাইয়ের লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করেছে।
চতুর্থ অভিযানে, চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাসেবা প্রদানে অনিয়ম ও হয়রানির অভিযোগে জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম-২ হতে একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে টিম ছদ্মবেশে সেবাপ্রদান প্রক্রিয়া, চিকিৎসক ও কর্মীদের উপস্থিতি এবং সেবাপ্রার্থীদের অভিজ্ঞতা সংগ্রহ করে। এছাড়া, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার বক্তব্য গ্রহণসহ প্রয়োজনীয় রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করা হয়। অভিযানে অংশগ্রহণকারী সেবাপ্রার্থীরা দুদকের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানান।
দুদকের সংশ্লিষ্ট টিমসমূহ এসব অভিযানের রেকর্ডপত্র পর্যালোচনার পর কমিশনের নিকট বিস্তারিত প্রতিবেদন দাখিল করবে।