বাসস
  ১২ মে ২০২৫, ১৮:২২

চীনের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ বহু প্রাচীন ও গভীর : ঢাবি উপাচার্য

সোমবার ঢাবি’র উপাচার্যের সঙ্গে চায়না ইন্টারন্যাশনাল কমিউনিকেশনস গ্রুপের সভাপতি ড. তু চান ইউয়ান’র নেতৃত্বে প্রতিনিধিদল সাক্ষাৎ করতে আসেন। ছবি : ঢাবি

ঢাকা, ১২ মে, ২০২৫ (বাসস) : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান বলেছেন, চীনের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ বহু প্রাচীন ও গভীর। চীন এবং বাংলাদেশের মধ্যে শিক্ষা-গবেষণা ও সাংস্কৃতিক সম্পর্ক আরও বৃদ্ধি করতে হলে বাংলা ও চীনা ভাষায় পাঠ্যপুস্তক অনুবাদের কার্যক্রম সম্প্রসারণ করতে হবে।

আজ সকালে ঢাবি’র উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খানের সঙ্গে চায়না ইন্টারন্যাশনাল কমিউনিকেশনস গ্রুপের (সিআইসিজি) সভাপতি ড. তু চান ইউয়ান’র নেতৃত্বে প্রতিনিধিদল সাক্ষাৎ করতে এলে ঢাবি ভিসি একথা বলেন।  

ঢাবি’র কলা ভবনস্থ সেন্টার ফর চায়নিজ স্টাডিজে সিআইসিজি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ড. তু চান ইউয়ান চীন সরকারের একজন সাবেক উপমন্ত্রী। 

এসময় চীনা দূতাবাসের কালচারাল কাউন্সিলর লি শাওফেং, ঢাবি’র ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীর, পপুলেশন সায়েন্সেস বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মঈনুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্সের পরিচালক অধ্যাপক ড. সামসাদ মুর্তূজা, সিসিএস-এসআইআইএস‘র পরিচালক ড. লিও জংই, টংজি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. জুও, ফরেন ল্যাংগুয়েজেস প্রেসের প্রেসিডেন্ট হু কাইমিন, সিআইসিজি‘র কালচারাল এক্সেচেঞ্জ সেন্টারের পরিচালক জেং জিনটিং, ঢাবি’র কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউটের পরিচালক ইয়াং হুই এবং সেন্টার ফর চায়না স্টাডিজ ও সাংহাই ইনস্টিটিউটস ফর ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজ’র অ্যালমানইরা উপস্থিত ছিলেন।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান বলেন, চীনের সঙ্গে আমাদের ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। আমাদের এই সম্পর্ক রাজনীতির উর্ধ্বে। চীনের সঙ্গে শিক্ষা-গবেষণা ও সাংস্কৃতিক বিনিময়ের মাধ্যমে এই সম্পর্ক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছেছে। এটিকে আরও এগিয়ে নিতে চাই। এক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউট, আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউট ও ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স অফিস গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।

চায়না ইন্টারন্যাশনাল কমিউনিকেশনস গ্রুপের (সিআইসিজি) সভাপতি ড. তু চান ইউয়ান বলেন, আশা করি ঢাবি’র সঙ্গে যৌথ সহযোগিতামূলক কাজ আরও বৃদ্ধি পাবে। শিক্ষা ও গবেষণায় এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে আমরা দুই পক্ষই দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। আমাদের চ্যালেঞ্জ একই। একসঙ্গে কাজ করলে সেগুলো দ্রুতই আমরা উতরে যেতে পারবো।