বাসস
  ১১ মে ২০২৫, ১৮:৪৪

জনগণ অবিলম্বে খুনিদের শাস্তি দেখতে চায় : জামায়াত আমির 

শনিবার রাতে মগবাজারে বক্তব্য দেন জামায়াত ইসলামী বাংলাদেশের আমির ডা. শফিকুর রহমান। ছবি : সংগৃহীত

ঢাকা, ১১ মে, ২০২৫ (বাসস) : বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, আমরা জুলাইকে হারিয়ে যেতে দেব না। বরং জুলাইয়ের চেতনা ধারণ করেই সামনের দিকে এগিয়ে যাবো ইনশাআল্লাহ। তিনি ছাত্র-জনতার ঐতিহাসিক বিপ্লবকে দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজে লাগাতে দলমত নির্বিশেষে সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান।

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের ঘোষণার পর তিনি শনিবার দিবাগত মধ্যরাতে মগবাজার চৌরাস্তায় এক পথ সভায় আগত নেতাকর্মী ও সমবেত জনতার উদ্দেশ্যে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।

কেন্দ্রীয়  নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমির মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে এবং কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ শফিকুল ইসলাম মাসুদের পরিচালনায় পথসভায় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমির  অ্যাডভোকেট ড. হেলাল উদ্দীন, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম, সহকারী সেক্রেটারি মাহফুজুর রহমান, নাজিমুদ্দিন মোল্লা, ডা. ফখরুদ্দিন মানিক, ইয়াসিন আরাফাত, প্রচার-মিডিয়া সেক্রেটারি মু. আতাউর রহমান সরকার, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি দেলোয়ার হোসেন, কামাল হোসেন ও ড. আব্দুল মান্নান প্রমুখ।

ডা. শফিকুর রহমান বলেন, আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের মাধ্যমে আমাদের প্রাণের দাবির আংশিক পূরণ হয়েছে। তবে পুরোপুরি বাস্তবায়িত হয়নি। জুলাই প্রোক্লেমেশন এখনো আসেনি। বিপ্লবের পূর্ণাঙ্গ ঘোষণা এখনো পাইনি। তবে আমাদেরকে ধৈর্যের সাথে ধাপে ধাপে এগিয়ে যেতে হবে। আমরা জুলাইকে কোনোভাবেই হারিয়ে যেতে দেবো না। বরং তা দেশ, জাতি, দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও গণমানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় যথাযথভাবে কাজে লাগাবো।

তিনি আওয়ামী লীগের বিচার প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমরা শহীদ পরিবারের সাথে দফায় দফায় বৈঠক করেছি। তারা সরকারের কাছে কোন আর্থিক সহযোগিতা চায় না বরং তারা দ্রুততার সাথে শেখ হাসিনাসহ তার দোসরদের বিচার চায়’। 

তিনি উৎফুল্ল জনতার উদ্দেশ্যে বলেন, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করার মাধ্যমে জনগণের দাবির আংশিক পূরণ হয়েছে। তারা আশা করে বর্তমান সরকার জনগণের আবেগ-অনুভূতি ও আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করে যৌক্তিক সকল দাবি পূরণ করবে। তিনি দায়িত্ব পালনে সরকারকে জনগণের প্রত্যাশার প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শনের আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, এ সরকারের কাছে জনগণের প্রত্যাশা অনেক। কারণ তাদের আন্দোলনের মাধ্যমে এ সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। জনগণ দেশে নতুন করে স্বৈরাচার বা ফ্যাসিবাদ চায় না বরং তারা শান্তি চায়। চায় বৈষম্যমুক্ত ও আইনের শাসনের সমাজ। তাই বর্তমান সরকারকে সকল প্রকার ভয়ভীতি ও চোখ রাঙানিকে উপেক্ষা করে জনআকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়ন করতে হবে। পতিত স্বৈরাচার ও তাদের দোসরদের অনতিবিলম্বে বিচারের আওতায় আনতে হবে। পূরণ করতে হবে জনগণের সকল ন্যায্য দাবি। খুনিদের বিষয়ে দেখাতে হবে শূন্য সহনশীলতা। জনগণ অবিলম্বে খুনিদের শাস্তি দেখতে চায়।

তিনি সরকারকে সকল প্রকার আবেগ-অনুভূতি, অনুরাগ-বিরাগের ঊর্ধ্বে থেকে নিরপেক্ষভাবে রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানান।