শিরোনাম
ঢাকা, ১১ মে, ২০২৫(বাসস) : সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ১০ টি সুপারিশ করেছে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন। সুপারিশসমূহের মধ্যে রয়েছে-দক্ষ চালক গড়ে তোলা, বিআরটিএ’র সক্ষমতা বাড়ানো, মহাসড়কে রোড ডিভাইডার নির্মাণ, ধীরগতির যানবাহনের জন্য আলাদা সার্ভিস রোড নির্মাণ এবং সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ এর কার্যকর বাস্তবায়ন।
আজ রোববার রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক সাইদুর রহমানের স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে আরো বলা হয়েছে, সড়ক নিরাপত্তায় চালকদের বেতন-কর্মঘন্টা নির্দিষ্ট করতে হবে, পরিবহন মালিক-শ্রমিক, যাত্রী ও পথচারীদের প্রতি ট্রাফিক আইনের বাধাহীন প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে, রেল ও নৌ-পথ সংস্কার করে সড়ক পথের উপর চাপ কমাতে হবে এবং টেকসই পরিবহন কৌশল প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করতে হবে।
প্রতিবেদনে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন দুর্ঘটনার প্রধান কারণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন, বেপরোয়া গতি, অদক্ষ ও শারীরিক-মানসিকভাবে অসুস্থ চালক, দুর্বল ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা এবং চাঁদাবাজি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, এপ্রিল মাসে দেশের বিভিন্ন স্থানে ৫৯৩টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৫৮৮ জন নিহত এবং ১ হাজার ১২৪ জন আহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে নারী ৮৬ জন এবং শিশু ৭৮ জন রয়েছে।
রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের প্রতিবেদনে বলা হয়, নিহতদের মধ্যে মোটরসাইকেল আরোহীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি ২২৯ জন, যা মোট নিহতের ৩৮ দশমিক ৯৪ শতাংশ। এছাড়া দুর্ঘটনায় নিহত ১১৬ জন পথচারী এবং ৭৪ জন চালক ও সহকারী রয়েছেন।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, এপ্রিল মাসে ৭টি নৌ-দুর্ঘটনায় ৮ জন এবং ২২টি রেলপথ দুর্ঘটনায় ২৪ জন নিহত হয়েছেন।
দুর্ঘটনার ধরন বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২৩৭টি দুর্ঘটনা ঘটেছে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে, ১৪৬টি ছিল মুখোমুখি সংঘর্ষ এবং ১১৯টি পথচারীদের চাপা বা ধাক্কা দেয়ার ঘটনা।
সড়কের ধরণ অনুযায়ী, জাতীয় মহাসড়কে ২১৩টি (৩৫.৯১%), আঞ্চলিক সড়কে ২৩৪টি (৩৯.৪৬%), গ্রামীণ সড়কে ৭৬টি এবং শহরের সড়কে ৬১টি দুর্ঘটনা ঘটে।
ঢাকা বিভাগে সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা ঘটে ১৭৩টি, যাতে নিহত হন ১৫৪ জন। সবচেয়ে কম দুর্ঘটনা ঘটে রংপুর বিভাগে ৩১টি, তাতে নিহত হন ৩২ জন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, নিহতদের মধ্যে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী রয়েছেন ৭৯ জন, যার মধ্যে চলমান এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিল ২৪ জন।