বাসস
  ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৮:১২

শিল্পকলা একাডেমির উদ্যোগে স্কুল পর্যায়ে চলছে ‘ভি আর-এ শিল্পকলা’ প্রদর্শনী

ছবি: বাসস

ঢাকা, ৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ (বাসস) : বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে স্কুল পর্যায়ে ‘৬ষ্ঠ জাতীয় ভাস্কর্য প্রদর্শনী ৩৬০ ডিগ্রি ভাস্কর্য প্রদর্শনী’ ও ‘পোস্টারে জুলাই অভ্যুত্থান’ শীর্ষক  ‘ভি আর-ট্যুর শিল্পকলা’(ভার্চুয়াল-রিয়ালিটি )’ প্রদর্শনী শুরু হয়েছে।

বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ইউনিভার্সিটি ল্যাবটারি স্কুলে এই প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। ৬ ফেব্রুয়ারি পূর্ব রামপুরা হাই স্কুল এবং ৯ ফেব্রুয়ারি কুর্মিটোলা হাই স্কুলের শিক্ষার্থীদের বেলা ১১টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ভার্চুয়াল-রিয়ালিটি ট্যুর বা প্রদর্শনী দেখানো হবে।  

ভি-আর এর অপর প্রদশনীটি ‘পোস্টারে জুলাই অভ্যুত্থান’এই সময়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রদর্শনী। বৈষম্যহীন কোটা সংস্কার আন্দোলন থেকে জুলাই গণঅভ্যুত্থান পর্যন্ত সময়ে শিল্পী দেবাশিস চক্রবর্তীর ডিজিটাল ড্রইংয়ে নির্মিত শতাধিক পোস্টার থেকে বাছাইকৃত ২০টি পোস্টার নিয়ে লাইভ এবং এ-আর (অগমেন্টেড রিয়ালিটি) ও ভি-আর (ভারচুয়াল রিয়ালিটি) প্রদর্শনী জাতীয় চিত্রশালার ৫ নং গ্যালারীতে প্রযোজনা বিভাগের ব্যবস্থাপনায় গত ৭ জানুয়ারি থেকে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত প্রদর্শিত হয়েছে। এই প্রদর্শনী ভার্চুয়াল রিয়ালিটিতে দর্শক পোস্টারগুলোর কনটেক্সট ও পরিপ্রেক্ষিতের নানা ভিডিও ফুটেজ, নিউজ ও তথ্যগুলোর মাধ্যমে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বিষয়ে বিশদ জানার সুযোগ তৈরি করবে।

বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি বাংলাদেশের শিল্প ও সংস্কৃতিকে সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে এবং শিল্পকলাকে সমাজের প্রাণ কেন্দ্রে প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্যে নতুন উদ্যমে কাজ করে চলেছে। এই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির  প্রযোজনা বিভাগ, ঢাকা জেলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সমূহের শিক্ষার্থীদের জন্য ভার্চুয়াল-রিয়ালিটি ট্যুর বা প্রদর্শনী দেখানোর কার্যক্রম চালু করেছে।

বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির চারুকলা বিভাগের ব্যবস্থাপনায় ‘৬ষ্ঠ জাতীয় ভাস্কর্য’ প্রদর্শনীটি বাংলাদেশের ১৫০ জন শিল্পীর ১৭৮টি ভাস্কর্য নিয়ে জাতীয় চিত্রশালাতে গত ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪ এ উদ্বোধন করা হয়। দেশের সমকালীন ভাস্কর্য চর্চার এক অনন্য নজীর, যার মধ্যে সমসাময়িক শিল্পচর্চার নানা বৈশিষ্ট্য এবং ঐতিহ্যবাহী নানা মাধ্যম ও কলাকৌশলের শিল্পকর্ম প্রদর্শিত হয়েছে।

এই আয়োজন শিক্ষার্থীদের নতুনতর তথ্য প্রযুক্তি এবং বাংলাদেশের সমসাময়িক শিল্পকলায় অভিজ্ঞ করে তুলবে, যা শিক্ষার্থীদের সৃষ্টিশীল ও সৃজনশীল মনন বিকাশে বিশেষ ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে বলে একাডেমি সূত্র জানায়।