শিরোনাম
ঢাকা, ১৫ আগস্ট, ২০২৫ (বাসস): রাজধানীর পরিবেশ, জীববৈচিত্র্য ও নাগরিক জীবনমান রক্ষার জন্য ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি) বিভিন্ন সরকারি দফতরে চিঠি পাঠিয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) প্রণীত ‘বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনা (ড্যাপ) ২০২২-২০৩৫’-এ প্রস্তাবিত পার্ক, খেলার মাঠ ও জলাধারের জমি ক্রয়-বিক্রয় বা ভূমি ব্যবহার পরিবর্তন রোধ করা জরুরি।
বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) ডিএনসিসি প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার সই করা চিঠি ভূমি মন্ত্রণালয়, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ, রাজউক, জেলা প্রশাসকগণ, সহকারী কমিশনার (ভূমি), সাব-রেজিস্ট্রার অফিস ও রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ে পাঠানো হয়।
চিঠিতে বলা হয়েছে, নগরের বাসযোগ্যতা বজায় রাখতে ও টেকসই উন্নয়নের জন্য পার্ক, খেলার মাঠ, জলকেন্দ্রিক পার্ক ও জলাধার সংরক্ষণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ জন্য ড্যাপ-এ প্রস্তাবিত এসব স্থানের ভূমি ব্যবহার পরিবর্তন না করা, খাজনা সংক্রান্ত বিধি-বিধান আরোপ এবং ক্রয়-বিক্রয় বন্ধ করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানানো হয়েছে।
এর আগে ডিএনসিসি’র ৫ম বোর্ড সভায় এ বিষয়ে সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রস্তাবিত পার্ক ও জলকেন্দ্রিক পার্কে সচেতনতামূলক সাইনবোর্ড স্থাপন ও অননুমোদিত দখল ও ব্যবহার রোধে কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
ইতোমধ্যে আফতাবনগর সংলগ্ন বাড্ডা এলাকার সাঁতারকুল, বাড্ডা ও সুতিভোলা মৌজার প্রায় ১৫০ একর জলকেন্দ্রিক পার্কের প্রস্তাবিত স্থানে সাইনবোর্ড স্থাপনের কাজ শেষ হয়েছে।
একইভাবে মিরপুরের বাউনিয়া, সেনপাড়া, পর্বতা, বিশিল, পাইকপাড়া, নন্দারবাগ, বড় সায়েক, মিরপুর ও নবাবের বাগ এলাকায় প্রায় ৭৫৯ একর, কাফরুলের লালাসরাইতে ১৮ দশমিক ১১ একর, ক্যান্টনমেন্ট থানার জোয়ার সাহারায় ৪৩ দশমিক ২৯ একর, মিরপুরে ৫৮৭ একর, বাড্ডা-ভাটারা-সাঁতারকুল ও সুতিভোলায় ১৮৫ দশমিক ২৩ একর, খিলগাঁওয়ের শহর খিলগাঁও এলাকায় ১৭০ দশমিক ৫০ একর, তুরাগের বাউনিয়ায় ১৯৭ দশমিক ২৬ একর, পল্লবীর মারুলে ২৪ দশমিক ৬১ একর এবং দক্ষিণ খান, উত্তর খান ও বরুয়া এলাকায় ৭১ দশমিক ২৬ একর জমিতে প্রস্তাবিত জলাধার, পার্ক ও খেলার মাঠে সাইনবোর্ড স্থাপনের কাজ চলমান রয়েছে।
মোট প্রায় ১ হাজার ৫০০ একর প্রস্তাবিত জলাধার, পার্ক ও খেলার মাঠ সংরক্ষণে এসব উদ্যোগ বাস্তবায়িত হলে নগরের পরিবেশ, জীববৈচিত্র্য ও নাগরিক জীবনমান উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নত হবে বলে ডিএনসিসি মনে করছে।
ডিএনসিসি আশা করছে, ড্যাপ ২০২২-২০৩৫ অনুযায়ী প্রস্তাবিত এসব স্থান সংরক্ষণ করলে ঢাকাকে একটি জলবায়ু সহনশীল শহরে রূপান্তর করা সহজ হবে।