শিরোনাম
নোয়াখালী, ১৫ আগস্ট, ২০২৫ (বাসস) : জাতীয় নাগরিক পার্টি’র (এনসিপি) সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসউদ বলেছেন, শেখ হাসিনা ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে পালিয়ে না গেলে, তাকে হয়ত এতোদিনে মাটির নিচে কিংবা আয়নাঘরে থাকতে হতো।
তিনি আরও বলেন, গণঅভ্যুত্থান সফল হয়েছে বলেই তিনি আজ তাদের সামনে এসে কথা বলতে পারছেন।
আবদুল হান্নান মাসউদ আজ শুক্রবার দুপুরে জেলার হাতিয়ার চেয়ারম্যান ঘাট এলাকায় নদী ভাঙ্গন কবলিত এলাকায় জিওব্যাগ ডাম্পিং কাজ পরিদর্শন শেষে আয়োজিত এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে একথা বলেন।
আবদুল হান্নান মাসউদ বলেন, ‘আমি আপনাদের সন্তান। আমি আপনাদের কাছে কখনো ভোট চাইতে আসবো না। কখনো বলবো না আপনারা আমাকে ভোট দেন।
আপনারা যদি আমার থেকে যোগ্য কাউকে প্রার্থী হিসেবে পান, তবে তাকে সবাই ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করবেন। এটাতে আমার কোনো আপত্তি নাই।’
তিনি আরো বলেন, আমি চাইবো অবহেলিত এই হাতিয়া দ্বীপের উন্নয়ন হোক। যিনি হাতিয়া দ্বীপের উন্নতি করতে পারবেন, আপনারা তাকেই ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করবেন।’
নিজেদের মধ্যে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে না জড়ানোর জন্য উপস্থিত সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আপনারা সবাই আমার কাছে ওয়াদা করেন, নিজেরা নিজেদের মধ্যে কেউ হানাহানি-মারামারি করবেন না।
বিএনপি-জামায়াত কিংবা এনসিপি যে যে দলই করুক, আমরা যদি নিজেরা নিজেদের মধ্যে মারামারি করি, অরাজকতার সৃষ্টি করি, তাহলে সারাদেশের মানুষ আমাদের খারাপ ভাববে।’
হাতিয়া দ্বীপের উন্নয়নের পরিকল্পনা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি সরকারের কোন মন্ত্রী-উপদেষ্টা কিংবা কোন কিছুতেই নেই। আমার বিশেষ কোন ক্ষমতাও নেই। আপনারা যেমন আপনাদের সুখ-দুঃখের কথা আমার কাছে শেয়ার করেন, তেমনি আমিও আপনাদের সুখ দুঃখের কথাগুলো সরকারের সঙ্গে জড়িত যারা রয়েছে তাদেরকে জানাই। তাদেরকে অনুরোধ করে আপনাদের জন্য বিভিন্ন প্রকল্প আনার চেষ্টা করি।’
এনসিপি’র সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক বলেন, ‘আমার নিজের চাচা খালারাও অসংখ্যবার নদী ভাঙ্গনের শিকার হয়ে সব কিছু হারিয়েছে। নদী ভাঙ্গনের কষ্ট আমি বুঝি।
হাতিয়াতে বিনিয়োগের জন্য এ মাসের শেষের দিকে জাপান থেকে একটি টিম হাতিয়া পরিদর্শন করতে আসবে। আমরা যদি ঠিকভাবে কাজ করার সুযোগ পাই, তবে আগামী ৫ বছরের মধ্যে হাতিয়া দ্বীপ সেন্টমার্টিন থেকেও সুন্দর হবে।’
এ সময় জাতীয় নাগরিক পার্টি’র নোয়াখালীর সংগঠক কাজী তানভীর, ইয়াছিন আরাফাত, মেহেদী হাসান সীমান্ত ও হাতিয়া উপজেলার প্রধান সমন্বয়কারী সামছল তিব্রিজসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।